বিডিনিউজ ডেস্ক: তারেক জিয়া যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন, সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছেন। এই তারেক জিয়ার বিরুদ্ধেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গিবাদের অভিযোগ উত্থাপন করেছে এবং এ কারণে তাকে ২০০৭ সালের ভিসা দেয়নি।
এখনও তারেক জিয়া যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র তারেক জিয়া নয়, বিএনপির অন্তত একজন নেতা জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ রয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে যখন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৭ জন কর্মকর্তাকে ট্রেজারি বিভাগ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তখন অনুসন্ধান করে তারেক জিয়া সম্পর্কে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য যে, দুটির মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ যে ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা হলো একটি প্রটোকল নিষেধাজ্ঞা।
বলা হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সামরিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যে ব্যয় করে সেই ব্যয়ের টাকায় যেন মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।
এই অংশ হিসেবে তারা অভিযোগ পেয়েছে যে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তা মানবাধিকার সুরক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি।
আর এ কারণেই বাংলাদেশের ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও এটি প্রাথমিক পর্যায়ে। এখন এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত এবং শুনানি হবে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন রাষ্ট্রদূত দেশে এলে এ আলোচনা গতি পাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
তবে ট্রেজারি বিভাগের এই নিষেধাজ্ঞাটি সাময়িক এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর যদি দেখা যায় যে অভিযোগগুলোর সত্যতা নেই তাহলে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
কিন্তু তারেক জিয়া, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ এক ডজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেই নিষেধাজ্ঞাটি হলো স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের সময় যখন বিএনপির সাথে সেনাসমর্থিত ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি সমঝোতা হয় তখন তারেক জিয়া প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই সময় তারেক জিয়াকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে সেই সময় সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি মানি লন্ডারিং অভিযোগ ছিলো। শুধু তারেক জিয়াই নয়, তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এর পরপরই তারেক জিয়া যুক্তরাজ্যে যান এবং সেখানে তিনি অবস্থান করছেন। কোকো যান মালয়েশিয়াতে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, এখনো এ নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে এবং তারেক জিয়া পারসন নন-গ্রাটা হিসেবেই চিহ্নিত। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে, তারেক জিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর কারণ তার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদসহ আন্তর্জাতিক চোরাচালান এবং মানি লন্ডারিং চক্রের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন না বিএনপির আরেক সাবেক নেতা যিনি বর্তমানে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারা অন্তরীণ রয়েছেন।
এছাড়াও বিএনপির আরেক প্রভাবশালী নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাননি বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি এরকম নেতাদের মধ্যে কয়েকজন এখন বিএনপির বিভিন্ন পদে রয়েছেন বলেও জানা গেছে।