বিডিনিউজ ডেস্ক: বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকেরা যাতে প্রতারিত না হন, সে জন্য এ–সংক্রান্ত বিষয়গুলো আরও স্বচ্ছ করা এবং এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালাতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই সঙ্গে তিনি বিদেশে যেতে জমি বিক্রি না করে প্রয়োজন হলে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এ নির্দেশ ও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন বিদেশে যে লোকজন যাবেন, তা ভেরি প্রিসাইজ ও ট্রান্সপারেন্ট করে দিতে এবং টেলিভিশন, রেডিও, গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করে দেওয়ার জন্য।
মানুষকে বলতে হবে, এরা হলো কর্তৃপক্ষ এবং এই পরিমাণ টাকা লাগবে। আর যদি টাকার প্রয়োজন হয়, তাহলে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে যেন ঋণ নিয়ে যান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, যে শ্রমিকেরা বিদেশে যাবেন, তাঁরা যেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় বা তাদের অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। কোনোভাবেই যেন তাঁরা অতিরিক্ত টাকা না দেন।
অনেকে না জেনে পেমেন্ট করে দেন, সে জন্য মন্ত্রিসভা প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে।
শ্রমিকেরা যাতে জমি বিক্রি না করে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যান, সে বিষয়ে উৎসাহ দিতে মন্ত্রিসভা বলেছে। এতে সুবিধা হবে, ব্যাংক নিয়োগ ঠিক আছে কি না, সেটি নিশ্চিত না হয়ে টাকা দেবে না। সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিও একটি সুরক্ষা পাবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, আলোচনায় এসেছে, দালাল শ্রেণির লোকজনের খপ্পরে পড়ে কয়েকজন বাড়িঘর বিক্রি করে তিন–চার লাখ টাকা করে দিয়ে মালয়েশিয়ায় গেছেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিঃস্ব হয়ে ফেরত এসেছেন তাঁরা। ওই টাকাও দুই বছরে তুলতে পারেননি। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এগুলো যাতে ব্যাপকভাবে প্রমোশন ও ক্যাম্পেইন করে মানুষকে জানানো হয়, যাতে মানুষ প্রতারিত না হন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, দেশে ১০০টি শিল্প পার্ক হচ্ছে বেজা ও অন্যদের। অনেক জায়গায় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্য এটাও যেন প্রচারে আনা হয়।