বিডিনিউজ ডেস্ক: বিজয়ের ৫০ বছরে উদ্ভাসিত হয়ে বিশেষ আয়োজনে ফিরে এলো ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। দেশ গঠনে তরুণদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে প্রদান করা এই অ্যাওয়ার্ডের প্রাথমিক বাছাইয়ে উঠে আসা ৩১ সংগঠনের মধ্য থেকে ১৫ জনের হাতে উঠবে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’।
এবারের অনুষ্ঠানে পূর্বে ধারণকৃত বক্তব্য প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও ধারণকৃত বক্তব্য প্রদান করবেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঘোষণা করা হবে বিজয়ী ১৫ সংগঠনের নাম যাদের হাতে সরাসরি এই পুরষ্কার তুলে দেবেন সিআরআই ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয় যা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলে। এ সময় ৭০০টিরও বেশি সংগঠন দেশ গঠনে তাদের গ্রহণ করা বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে আবেদন করে।
বিগত মাস জুড়ে এই আবেদনগুলো যাচাই বাছাই শেষে মূল পর্বের জন্য মনোনীত করা হয় তরুণদের ৩১ সংগঠনকে।
বিজয়ের ৫০ বছরে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের বিশেষ আয়োজনে বিজয়ী দলগুলোকে যাচাই বাছাইয়ের জন্য ছিলো বিশেষ বিচারক প্যানেল।
এই প্যানেলের সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা, ইয়াং বাংলার আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ডান অ্যান্ড ব্রেডস্ট্রিটের সিইও জারা মাহবুব, ডেইলি স্টারের সিনিয়র করসপনডেন্ট পরিমল পালমা, তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী ও টিভি উপস্থাপক তাসনুভা শিশির, জাতীয় পুরষ্কার বিজয়ী অভিনয় শিল্পী জয়া আহসান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন বিষয়ক অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমান, উইমেন ইন ডিজিটাল আচিয়া খালেদা নিলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাকালীন ট্রাস্টি মফিদুল হক, সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট শ্যামালতা রায়, চলচ্চিত্র পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত এবং পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আন্দোলনকারী শাহরিয়ার সিজার রহমান।
এই বিশেষ প্যানেলের দীর্ঘদিনের বিচার বিশ্লেষণ শেষে বাছাই করে ৩১ সংগঠনকে এবং সেখান থেকে ১৫ সংগঠনকে বেছে নেয়া হয় যাদের হাতে ২০ ডিসেম্বর তুলে দেয়া হবে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করা ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে ধারণ করে দুই বছর পর পর এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এ বছর ব্যবধান কমিয়ে এক বছরেই এই পুরষ্কার দেয়া হচ্ছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর পৃষ্ঠপোষকতায় পুরষ্কারটির আয়োজক ইয়াং বাংলার সূত্র জানায়, অ্যাওয়ার্ড জয়ী তরুণরা শুধু দেশকে পরিবর্তন নয় বরং বিশ্বব্যাপী অবদান রাখার মতো যোগ্যতা রাখে।
২০১৪ সালে প্রথম বারের মতো সমাজে বাল্যবিবাহ বন্ধ, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদান ও সুস্থদের সহযোগিতা করা যুবক ও যুব সংগঠনকে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’র আওতায় পুরস্কৃত করা হয়। গত কয়েকবছরে এই পুরষ্কার পাওয়া ব্যক্তি ও সংগঠন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এর মাধ্যমে দেশকে তুলে ধরা ও অন্যদের মাঝে অনুপ্রেরণা তৈরি করা গেছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। এ বছর পুরষ্কারে নতুন করে কিছু বিষয় যোগ করা হয়েছে। এর আওতায় স্বাধীনতা উত্তর দেশ গঠনে নেতৃত্ব, সেবা, উদ্যোগ ও গবেষণা করা ব্যক্তিদেরকে বিশেষ স্বীকৃতি দেবে ইয়াং বাংলা।-বাসস