আমরা একের পর এক চ্যালেঞ্জ ফেস করছি। দ্রব্যমূল্যের সাথে অনেক কিছুই জড়িত। বন্যার কারণে শাকসবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে এবং সেই কারণে চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের একটা বড় প্রভাব রয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত সময়ে ভোক্তা অধিকার আইনকে দুর্বল করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় আমরা রিপোর্ট পাই দুই-তিন ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, এটা আসলে কার্যকর নয়, আগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেল দেয়ার সক্ষমতা ছিল। এখন আমরা ভাবছি আমাদের হার্ড লাইনে যেতে হবে, না হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা অনেক টাফ (কঠিন) হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানের উপদেষ্টা বলেন, মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া অনেক তরুণ উদ্যোক্তা রয়েছেন, যারা সরাসরি উৎপাদকের কাছ থেকে পণ্য এনে ঢাকায় বা শহরগুলোতে সাপ্লাই করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে দাম অনেক কমে যাবে। তাদের আমরা সামনের দিনগুলোতে উৎসাহী করব। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ডিস্ট্রিবিউটার অধিকাংশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের ছিল। তাদের অধিকাংশ কিন্তু এখন নেই। পৃথিবীর কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে আছে। কৃষি কার্যক্রম আমরা আরো শক্তিশালী করার কথা ভাবছি।
হার্ড লাইনে না গেলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।