অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে থাকে, জনগণের সমর্থন নিয়ে চলে। এ সমাবেশে লাখো জনতার উপস্থিতি বলে দিচ্ছে আমরা আবারও সরকার গঠন করব। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকার জয় নিশ্চিত করতে হবে, ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, বিএনপি খুনিদের দল। তারা দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ যাত্রা অব্যাহত রাখতে এ অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।
বিএনপি সংবিধানকে পদদলিত করেছে। সাম্প্রদায়িক সংঘাত করেছে। তারা আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করতে চায়। এসব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ক্ষমতা দখল করে নেবে বলে শুনেছি। তারা নাকি মন্ত্রিপরিষদও গঠন করেছে। এটি কীভাবে করতে পারে, তা আমার জানা নেই। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ ছাড়া সম্মেলনে বক্তব্য দেন-প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে দুপুর ২টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে (পুরনো বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।
এরপর সম্মেলন মঞ্চে আসনগ্রহণ করেন-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, সদস্য জিয়াউল কবির কাউসার, সানজিদা খানম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ শীর্ষ নেতারা।
সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লাল-সবুজ টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে ঢাকঢোল-তবলা বাজিয়ে মিছিল নিয়ে সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
এদিকে, শুক্রবারই (২৮ অক্টোবর) নৌকার আদলে সাজানো হয়েছে মঞ্চ। সম্মেলনস্থলে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক টয়লেটসহ নানা সুবিধা রাখা হয়েছে।