অনলাইন ডেস্ক: ভারতকে তো আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে দিয়েছে। আর এখন আমেরিকা। কত জায়গায় গেলেন নিষেধাজ্ঞার জন্য। কত তদবির করলেন। এলো নিষেধাজ্ঞা? আটলান্টিকের ওপার থেকে লবিং করে করে নিষেধাজ্ঞা আনতে পারলেন? ডোনাল্ড লু আসলো, সরকারের সঙ্গে কথা বললো।
তারপর আসলো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের বিশেষ উপদেষ্টা ডেরেক শোলে। কি হলো? বিএনপির সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে? দিনরাত পড়েছিল মার্কিন দূতাবাসে। যদি একটা সাক্ষাৎ মেলে। সাক্ষাৎ কি মিলেছে? সাক্ষাৎ হয়েছে? ওখানেই বিএনপির মন খারাপ।
আমার দেশে আমি গণতন্ত্র ঠিক মতো চালাচ্ছি কিনা, গণতান্ত্রিক নির্বাচন হচ্ছে কিনা, জনগণ গণতন্ত্রের কথা বলতে পারছে কিনা, কথা বলার স্বাধীনতা আছে কিনা, জনগণ হেসে খেলে শান্তিতে আছে কিনা সেটিই সরকারের মুখ্য বিষয়। কে আমন্ত্রণ করলো, কার কোথায় সম্মেলন সেটা নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই।
সরকারের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, এটাই হচ্ছে খবর। তাহলে আমেরিকাও নাই, তাহলে যাবেন কোথায়? বিএনপি বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে।
বিএনপির আন্দোলনের নদীতে গণজোয়ার আর আসবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বছর না আগামী বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর। এখন বিএনপির মুখে খই ফুটেছে। স্লো মোশন থেকে পদযাত্রা। শর্ট মার্চ থেকে লং মার্চ করবে, সবই ভুয়া। বিএনপি হচ্ছে ভুয়া।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন অর্জনে বাংলাদেশ বদলে গেছে। দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মন খারাপ।
তিনি বলেন, বিশ্ব সংকটেও দেশের মানুষ শেখ হাসিনার উপর খুশি। বিশ্ব পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত দাম দিয়ে জ্বালানি তেল, খাদ্যশস্য কিনে কম দামে জনগণকে দিচ্ছি যাতে দেশের মানুষের কষ্ট কম হয়। বিএনপি হলে দিত খাম্বা। তারেক জিয়া খাম্বা ব্যাপারি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে, বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাবে। বিএনপি হল নষ্ট রাজনীতির হোতা। এদেশের রাজনীতির বিষফোঁড়া।
তাদের কাছে এদেশের মানুষ, গণতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা নিরাপদ নয়। এরা সুযোগ পেলে মানুষ পোড়াবে, ভাঙচুর করবে, অগ্নিসন্ত্রাস করবে।