অনলাইন ডেস্ক: পদ্মা সেতু বাঙালির আত্মমর্যাদা এবং আত্মনির্ভরতার এক অনন্য সোপান উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ও বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু আজ আর স্বপ্ন নয়। খরস্রোতা পদ্মার বুকে ৬ দশমিক ১৫ দৈর্ঘ্য নির্মিত সেতু আজ বাস্তবতা। এটা আমাদের অহংকার।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, ষড়যন্ত্র ও বিশ্বব্যাংকের ভিত্তিহীন অভিযোগ উপেক্ষা করে, বাধা-বিপত্তি জয় করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের বহুমাত্রিক ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে।
পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পবিপ্লব ঘটবে বলে জানান স্পিকার। তিনি বলেন, সেখানে শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। সেতুতে রেল যোগাযোগ চালু হলে ঢাকা থেকে কলকাতায় সংযোগ চালু হবে, যাতে বাড়বে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ।
পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক লাইফ লাইন রূপে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শুধু বাণিজ্যিক নয় আর্থসামাজিক উন্নয়নে পদ্মা সেতু অবদান রাখবে জানিয়ে স্পিকার বলেন, আমরা জানি অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বরিশালে ১০ ভাগ দরিদ্র বেশি। এটা কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে পদ্মা সেতু। যোগাযোগ উন্নয়নের ফলে সেখানকার কৃষকরা তাদের ফসলে বাজারমূল্য পাবে। এতে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে তাদের।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ঋণ প্রস্তাব দিতে সম্মত হয়, কিন্তু পরবর্তীতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র এনে চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে। শুধু দুর্নীতির অনুমান করেই এই ঋণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়।