বিডিনিউজ ডেস্ক: এর ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশে পোশাকের অন্যতম ব্র্যান্ড ‘সারা’। প্রতি বছরই ‘সারা’ লাইফস্টাইল চেষ্টা করে তাদের শীতের পোশাক বা উইন্টার কালেকশানে নতুনত্ব রাখতে। ফ্যাশনে ভিন্নতা আর বৈচিত্র আনতে তারা বেশ সিদ্ধহস্ত।
প্রকৃতিতে এসেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া, ঋতুর পালাবদলে শীত আসন্ন। আর শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই পরিবর্তন আসবে নাগরিক বেশভূষাতে।
আর করোনাকালীন সময়ের খরা কাটিয়ে উঠে এবারো ‘সারা’ এনেছে ভিন্নধর্মী ‘উইন্টার কালেকশান’।
আর কিছুদিনের মধ্যেই শীতের পোশাকের নতুন কালেকশানগুলো চলে যাবে সারা’র বিভিন্ন শোরুমে। তারই তদারকিতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্র্যান্ডটির এজিএম (অপারেশান) প্রিয়ম আমিন।
এর মাঝেই সময় করে বলছিলেন এবারের উইন্টার কালেকশান নিয়ে সারা’র প্রস্তুতির কথা। বরাবরের মত এবারও বেশ ভিন্নধর্মী কিছু ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে ‘সারা’, এমনটাই বলছিলেন প্রিয়ম আমিন।
ছেলেদের জন্য এবারো থাকছে কম্ফোর্টেবল হুডি আর স্টাইলিশ জ্যাকেট। সেই সঙ্গে মেয়েদের জন্যও এবার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে স্টাইলিশ জ্যাকেট, যাতে থাকবে বেশ ভারী এমব্রডারি আর চুমকির কাজ।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভারী সাজের সঙ্গে এই জ্যাকেটগুলো এবার বেশ ভালো মানাবে, এমনটাই আশা করছেন প্রিয়ম আমিন। তবে শুধু ভারী জ্যাকেটই নয়, ফরমাল বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ফরমাল জ্যাকেটও কিন্তু পাওয়া যাবে সারা’র শোরুম গুলোতে।
সারা’র এবারের উইন্টার কালেকশানের থিমটাও কিন্তু বেশ ভিন্ন। দেশের করোনাকালীন পরিস্থিতিতে উন্নতি এসেছে কিছুটা। ঘরে থেকে হাঁপিয়ে ওঠা অনেকেই তাই ছুটতে চাইছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, অনেকে আবার দেশের বাইরে ঘুরতে যাবার চিন্তাও করছেন।
আর সেই কথা মাথায় রেখেই এবার ‘সারা’ তার শীতের পোশাকগুলোকে তৈরি করেছে একটু ভারী কাপড়ে। সারা’র পোশাক যেন হয় এবার সকলের ভ্রমণসঙ্গী, সেই আলোকেই কাজ করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রসঙ্গে প্রিয়ম আমিন জানান, ‘অনেকেই এবার শীতের আমেজটা উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে যাবেন, কেউ হয়তো যাবেন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশে।
তাই দেশের বাইরে পরার মত করেও এবার তৈরি হচ্ছে সারা’র শীতের পোশাকগুলো।’ কাপড়ের ধরন হিসেবে তারা এবার তাই বেশ ভারী ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এতোদিন শুধু রাজধানী ঢাকাতেই ছিল সারা’র শোরুমগুলো, সম্প্রতি বনশ্রীতে চালু হয়েছে নতুন আরও একটি শোরুম। তবে প্রিয়ম আমিন শোনালেন আশার কথা, জানালেন রাজধানীর গণ্ডি ছাড়িয়ে এবার ‘সারা’ পা রাখতে চলেছে দেশের অন্যান্য বিভাগগুলোতেও।
প্রিয়ম জানান, ঢাকার বাইরে ‘সারা’র প্রথম শোরুম হবে রংপুর বিভাগে। আগামী মাস অর্থাৎ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই হবে রংপুর শোরুমের উদ্বোধন।
দেশেরসীমানা পেরিয়ে ‘সারা’ বিদেশের মাটিতে পা রাখবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়ম আমিন জানান, এমন চিন্তাভাবনাও চলছে। তিনি বলেন, সব কিছু ঠিকভাবে চললে আগামী দুবছরের মধ্যেই ‘সারা’ দেশের বাইরে নিজস্ব শোরুম করতে পারবে।
‘সারা’ সব সময় ক্রেতাদের রুচি এবং ক্রয়ক্ষমতার কথা মাথায় রাখে জানিয়ে প্রিয়ম আমিন বলেন, করোনাকালীন সময় সব স্তরের ক্রেতাদের কথা চিন্তা করেই তারা পোশাকের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেন।
মহামারী করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যে শিল্পগুলো, তারমধ্যে অন্যতম আমাদের পোশাকশিল্প। এই ক্ষতি ‘সারা’ কীভাবে কাটিয়ে উঠছে জানতে চাইলে প্রিয়ম বলেন, করোনা মহামারিতে কারখানাগুলো বন্ধ থাকলেও আস্তে আস্তে এই খাত আবার ঘুরে দাড়াচ্ছে। এ ছাড়াও এই বছর তারা তাদের লক্ষ্যমাত্রার অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবেন, এমনটাই আশা করছেন।
‘সারা’ বরাবরই কর্মীবান্ধব একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। করোনা মহামারির সময়ে তারা কিভাবে তাদের কর্মীদের খেয়াল রাখছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়ম বলেন, বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে।
তার পরেও যদি কেউ করোনা বা এর উপসর্গে আক্রান্ত হন, তার জন্য রয়েছে আলাদা কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ও যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা।
আর ‘সারা’র শোরুমগুলোতে যারা কেনাকাটা করতে যাবেন, তারাও যেন পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন সেদিকেও নজর রয়েছে কেন্দ্রের কর্মীদের।
উল্লেখ্য, লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ কাজ শুরু করেছে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে। ঢাকার মিরপুর-৬ এ অবস্থিত ‘সারা’র প্রথম আউটলেট নিয়ে কাজ শুরুর পর বসুন্ধরা সিটির লেভেল ১, ব্লক এ এর ৪০ এবং ৫৪ নং শপটি ছিল সারা’র ২য় আউটলেট।
৩য় আউটলেটটি হল বাড়ি- ১৯ বি/৪সি ও বি/৪ ডি, ব্লক-এফ, রিং রোড, মোহাম্মদপুর এই ঠিকানায়। উত্তরায় সারার পোশাক পাওয়া যাবে হাউজ নং-২২ , সোনারগাঁ জনপদ, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা- এই ঠিকানায়।
বারিধারা জে ব্লকে আছে সারার আরেকটি আউটলেট। এ ছাড়াও সম্প্রতি বনশ্রী ই ব্লকের ১নং রোডের ৪৮ নং বাড়িতে চালু হয়েছে যাচ্ছে সারা’র ৬ষ্ঠ আউটলেট।
আউটলেটের পাশাপাশি ‘সারা’ এর নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.saralifestyle.com.bd), ফেসবুক পেজ (www.facebook.com/saralifestle.bd) এবং ইন্সটাগ্রাম (saralifestyle.bd) থেকে ক্রেতারা ঢাকার ভেতরে অর্ডার করে এই ক্রান্তিলগ্নে হোম ডেলিভারি পেতে পারেন।
এ ছাড়াও ঢাকার বাইরে সারা দেশে কুরিয়ারের মাধ্যমেও আপনার অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি পাবেন।