অনলাইন ডেস্ক: যুব গেমস ভবিষ্যতে স্মার্ট খেলোয়াড় তৈরির কারখানা গড়ে তুলবে বলে বিশ্বাস করে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-‘আগামী দিনের তারকা অনুসন্ধানে এই যুব গেমস এনে দেবে নতুন মাত্রা।
বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আর এই স্মার্ট বাংলাদেশ আমাদের স্মার্ট খেলোয়াড় তৈরি করবে। এবং আমরা সারা বিশ্বে যেকোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করব। আমি চাই এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।’
অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়দের শুভকামনা জানান বিওএ সভাপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান ও অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেছেন-‘প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ও নির্দেশেই এই যুব গেমস আয়োজন সম্ভব হয়েছে। যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে সারা দেশে খেলাধুলা ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। আশা করছি বিশ্বের মানচিত্রে আমাদের ক্রীড়াঙ্গন ভালোভাবেই উপস্থাপন করতে পারবে।’
২৪টি ডিসিপ্লিনে ৬০ হাজার ক্রীড়াবিদ, কোচ, কর্মকর্তা ও ক্রীড়া সংগঠকের অংশগ্রহণে গত ২ থেকে ১০ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল দেশের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া আসর বাংলাদেশ যুব গেমসের প্রথম পর্ব।
উপজেলা পর্যায়ে উঠতি ক্রীড়াবিদদের প্রতিযোগিতার পর গত ১৬ থেকে ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।এই দুই ধাপে সেরাদের নিয়ে ৮টি বিভাগীয় দল নিয়ে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত পর্ব।
১৯৩টি স্বর্ণ পদকের লড়াইয়ে আগামী দিনের প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ খুঁজে নেয়ার এই প্রতিযোগিতা আনুষ্ঠানিকভাবে রোববার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আর্মি স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
গেমসের মশাল প্রজ্বলন করেছেন এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসের ৬০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণজয়ী ইমরানুর রহমান ও গত এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী কারাতেকা মারজান আক্তার প্রিয়া। মশাল প্রজ্ব্বলনের পর পরই বেজে উঠেছে শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের থিম সং, ‘বুকভরা নিশ্বাসে আকাশ পানে চাই।’
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর স্টেডিয়ামের মাঝখানে বসানো বড় পর্দায় দেখানো হয় গেমস নিয়ে তিন মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র। এরপর ৮ বিভাগীয় দলের মার্চপাষ্ট প্রদক্ষিণ করেছে মাঠ। অ্যাথলেটদের শপথবাক্য পাঠ করান দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণার পর মশাল প্রজ্বলন, ডিসপ্লে ও আতশবাজি মিলিয়ে ছিল ঘণ্টা দুয়েকের অনুষ্ঠান। দেশীয় কৃষ্টি ও ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তিন মিনিটের অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট বড় পর্দায় দেখানো হয়।
শহীদ আনোয়ার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নৃত্য, আর্মি স্কুল অব ফিজিক্যাল ট্রেনিং অ্যান্ড স্পোর্টস দলের সৈনিকদের ডিসপ্লে এবং ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীরা ডিসপ্লে’র মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন নৌকার প্রতিকৃতি ।