অনলাইন ডেস্ক: ‘সর্বাধুনিক ইকুইপমেন্ট, ট্রান্সপোর্টসহ আমাদের যে সব ধরনের লজিস্টিক সুবিধা রয়েছে তাতে দৈনিক দুই থেকে আড়াই লাখ সিএফটি (কংক্রিট ভরা টিউব) রেডিমিক্স কংক্রিট আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে কাস্টমারদের ডেলিভারি দিতে পারব।’
সুন্ধরা রেডিমিক্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কংক্রিট পণ্য উৎপাদনের জন্য ঢাকার বৃহত্তম রেডিমিক্স প্লান্ট চালু করেছে। এটি বসুন্ধরা রেডিমিক্সের তৃতীয় প্লান্ট।
রোববার বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পি-ব্লকে এ প্লান্টের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা রেডিমিক্সের উপদেষ্টা ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফখরুল আমিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও-বসুন্ধরা রেডিমিক্স, বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং, টগি সার্ভিসেস) মীর্জা মুজাহিদুল ইসলাম, তৌফিক হাসান (এইচ ও ডি, মার্কেটিং অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট), মো. ইলিয়াস হোসেন (এইচ ও ডি, অডিট), বিশ্বজিৎ ধর (চিফ ইঞ্জিনিয়ার), শিশির কুমার বিশ্বাস (হেড অব প্লান্ট অপারেশন), খিজির আহমেদ (এইচ ও ডি, এসসিএম-ফরেন), সীমান্ত বিশ্বাস (ডিজিএম, এসসিএম-লোকাল), মাসুদুল হকসহ (এজিএম ও ইন-চার্জ, সেলস) প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
বসুন্ধরা রেডিমিক্সের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফখরুল আমিন বলেন, ‘রেডিমিক্স প্লান্টটি নির্মাণকাজের যত কাছাকাছি হয় ততই ভালো। বসুন্ধরা আবাসিকে এখন বৃহৎ কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে এবং বসুন্ধরার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও অনেক কাজ চলছে ও চলবে।
এসব এলাকাগুলো থেকে এই প্লান্টের দূরত্ব খুবই কম এবং ট্রাফিক জ্যামের ঝামেলাও নেই। তাই খুব সহজে এখান থেকে মানসম্পন্ন কংক্রিট সরবরাহ করা যাবে।’
চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের অন্যতম বৃহৎ ও ঢাকার বৃহত্তম রেডিমিক্স প্লান্ট এখন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়।
কোয়ালিটি সম্পন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে বসুন্ধরা এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে ডেলিভারি দিতে পারব এই প্লান্টের মাধ্যমে। এ প্লান্টটিতে প্রতি ঘণ্টায় ২৪০ ঘনমিটার কংক্রিট উৎপাদন করা যাবে।’
তৌফিক হাসান (এইচওডি, মার্কেটিং) বলেন, ‘বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে বৃহত্তর গুলশান, বারিধারা, রামপুরা অঞ্চল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, মিরপুর, উত্তরা, টঙ্গীসহ প্রতিশ্রুতিশীল পূর্বাচল এলাকার ছোট থেকে বড় আকারের নির্মাণ প্রকল্প নির্মাণে দারুণ সহায়তা করবে এই প্লান্টটি। মূলত ঢাকা উত্তর সিটির সঠিক পিএসআই কংক্রিটের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আরো বেশি ধারণক্ষমতার এই তৃতীয় প্লান্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।’