গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আবাসিক হল আগামী ৭ অক্টোবর থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হলে ওঠার ক্ষেত্রে অন্তত এক ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের সভাপতিত্বে ২৪তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়া ও শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান এবং তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সেগুলো হলো- প্রথম দফায় আগামী ৭ অক্টোবর থেকে সম্মান চতুর্থ বর্ষ এবং সেনাকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা হলে উঠবে। পরে ২০ অক্টোবর থেকে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়া হবে। হলে ওঠার ক্ষেত্রে অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের বৈধ পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষার হলে অবশ্যই সকল শিক্ষার্থীকে মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব মেনে ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় ৫৬০ দিন শেষে হলে ফেরা হবে এ আনন্দে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সেনাকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু জাহিদ বলেন, হলের অধিকাংশ আবাসিক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে দুই ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন। আমরা যথাযথ বিধি মেনে হলে উঠতে প্রস্তুত আছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা হল খোলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদানসহ নয়টি বিষয় প্রদানের জন্য প্রশাসনের নিকট লিখিতভাবে সুপারিশ করেছি।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে বশেমুরবিপ্রবির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ১৮ মাস শেষে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হলেও বন্ধ রাখা হয়েছে আবাসিক হল।