22 C
Dhaka
Saturday, November 23, 2024

বড় অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বিচ্ছিন্ন ঘটনায়

বিডিনিউজ ডেস্ক

চাকুরির খবর

টানা ১২ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। এই ১২ বছরে দেশ অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল হয়েছে।

দেশের অভ্যন্তরে মানুষের আয়-উপার্জন বেড়েছে, রপ্তানি আয় বেড়েছে, ফরেন রিজার্ভ সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রো রেলের মত বড় বড় মেগা প্রকল্প দৃশ্যমান। বাংলাদেশে এখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের এক রোল মডেল।

এরকম একটি পর্যায়ে যখন সরকার এগিয়ে যাচ্ছে তখন কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ছোট ছোট ঘটনা সরকারের এই উন্নতি এবং অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো জনমনে অস্বস্তি এবং উদ্বেগ তৈরি করছে।

এর ফলে উন্নয়নের যে আনন্দ সেটি অনেক ক্ষেত্রেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ এরকম ঘটনার উদাহরণ হল চিত্রনায়িকা পরীমনি। পরীমনির ঘটনাটি ঘটেছিল গত বুধবার।

গত রোববার তিনি ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করেন। এরপর তিনি গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন। আজ এই অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।

পরীমনি দাবি করেছেন তিনি এটি নিয়ে বিভিন্ন মহলের কাছে গিয়েছেন এমনকি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও কথা বলেছেন কিন্তু কেউই মুখ খুলতে পারেননি।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অনুশাসন, আইন সবার জন্য সমান এবং আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়, কেউ অপরাধ করলে তার পরিচয় এবং প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি বিবেচনা করা হবে না সেটি সকলের জানা থাকা স্বত্বেও কেন বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত পরীমনির অভিযোগগুলো আমলে নেওয়া হল না।

কেন তাকে আতঙ্ক এবং উদ্বেগের মধ্যে কাটাতে হল এই নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। পরীমনির ব্যক্তিগত জীবন যাই হোক না কেন তিনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক এবং নাগরিক হিসেবে তার আইনগত প্রতিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

আর সেই অধিকার থেকে কারা তাকে বঞ্চিত করলো, এদের কারণে সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। যদি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ না করতেন তাহলে হয়তো বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদত, এমনটি মনে করেন সাধারণ মানুষ।

পরিমনির ঘটনার আগে ঘটেছিল সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ঘটনা। রোজিনা ইসলামের ঘটনাটি ছিল অনভিপ্রেত, অপ্রত্যাশিত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সেবা সচিবের কক্ষে যে ঘটনাটা ঘটেছে সেটি সহজেই মীমাংসা করা যেত এবং এটি নিয়ে এরকম এরকম তুলকালাম কাণ্ড না করলেও চলত।

এমনকি যখন রোজিনা বলেছিলেন যে তিনি মুচলেকা দিতে রাজি তখনই তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তার সম্পাদক ডেকে বিষয়টি সমাধান করা যেত।

কিন্তু সেটি না করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু অযোগ্য এবং অতি উৎসাহী কর্মকর্তা-কর্মচারী বিষয়টিকে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এর ফলে গণমাধ্যম এবং সরকার মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই শেষপর্যন্ত বিষয়টি মীমাংসা হয় এবং একটি বড় ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে সরকার রক্ষাও পায়। কিন্তু এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আরেকবার প্রশ্ন উঠেছে যে এই অতি উৎসাহীরা ছোট ছোট ইস্যুকে বড় বানিয়ে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে।

এরকম অনেক উদাহরণ দেওয়া যায় যেখানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা যে ঘটনাটি ছোট্টতেই মীমাংসা করা যেত সেটিকে টেনে হিঁচড়ে লম্বা করা হয়েছে এবং সরকারকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এই ঘটনাগুলো উদ্বেগজনক এবং সরকারের মূল উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রা যেন এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ম্লান হয়ে না যায় সেদিকে সবার লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর