তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিগত দিনে সারাদেশে আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও জননেত্রী শেখ হাসিনার অনুসারী হিসেবে কাজ করেছি তাদের ওপর সীমাহীন নির্যাতন চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, যখনই ঘাতকরা দেখেছিল বঙ্গবন্ধু দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছেন, তখনই তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের নিরাপত্তার জন্য কালো আইন করা হয়েছিল।
তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য জঙ্গিদের সাহায্যে তারেক রহমানের নির্দেশে ২১ আগস্ট বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়।
আজ (শনিবার) বিকেলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সিংড়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা ও পৌর যুবলীগ আয়োজিত শোকসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান বক্তা হিসেবে জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার ডিজিটাল রূপ বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগের ভেতরে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে হবে।
কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতাকারীরা এখনো সক্রিয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা এসব দোসরদের হাতে নিরাপদ নয়। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত দোসররা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
পলক বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে সিংড়া উপজেলায় সদ্য প্রয়াত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী চাচার স্মরণসভার আয়োজন করেছিলাম। সিংড়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে স্মরণ সভায় বক্তব্য চলছিল। আকস্মিক ঢাকা থেকে একটি দুঃসংবাদ আমাদের সকলকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল।
আমরা জানলাম আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপরে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে প্রাণপ্রিয় নেত্রীর ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গের মধ্যে সিংড়ায় আমরাই প্রথম বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমেছিলাম।
বিক্ষোভ মিছিলটি যখন সিংড়ার বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছায় তখন বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমিসহ আমাদের নেতাকর্মীরা মারাত্মক আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যপক আব্দুল কুদ্দুস।