অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু তার সেনা অফিসারদের সন্তানদের মতোই ভালবাসতেন। সেই সন্তানতুল্য একদল উশৃঙ্খল সেনা কর্মকর্তাদের হাতেই তার ছেলে লে. জামালের ও নিজের প্রাণ গেলো।
আজ শেখ জামালের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের অযুত ভালোবাসা, গর্ব ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে পেশাগতভাবে দক্ষ ও চৌকস বাহিনী হিসেবে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, জিয়াউর রহমান সংবিধান, গণতন্ত্র এমনকি সেনা আইন কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চালু করেছিল স্বাধীন বাংলাদেশে।
শুধু তাই নয়, শেখ জামালসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদের রক্তে রঞ্জিত জিয়াউর রহমানের হাত। জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার আজকের প্রজন্মের সময়ের দাবি। আমি যুবলীগের পক্ষ থেকে এই দাবি ব্যক্ত করছি।
জামালের রক্তপাত ঘটানো সেনাবাহিনীর সদস্যদের সেনা আইনে বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সে সময়ের সেনাপ্রধান সফিউল্লাহ ও উপ-সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত, তার প্রমাণ পাওয়া যায় জিয়ার পরবর্তী কার্যকলাপের মধ্যেই।
সেনাবাহিনীর যে সদস্যরা হত্যা করেছিল তাদের বিচার না করে যেন জিয়ার অবৈধ সরকার খুনিদের পুরষ্কৃত করে! সেই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার করা যাবে না বলে দায়মুক্তি অধ্যাদেশও জারি করে জিয়াউর রহমানের পার্লামেন্ট।
খুনিদের বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়, দু’জন খুনিকে জনগণের ভোট চুরি করে জাতীয় সংসদে সদস্যপদ দেওয়া হয়।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, জিয়াউর রহমানের বিএনপির নেতৃবৃন্দ যখন গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা বলে, ওদের লজ্জা পাওয়া উচিৎ। এ দেশের মানুষের কাছে মাফ চাওয়া উচিৎ অন্যায় এবং জাতির সাথে প্রতারণা করার জন্য।