বিডিনিউজ ডেস্ক: আসলে Facebook এখন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ছাড়াও আরো বেশি কিছু তে পরিণত হয়েছে। কোম্পানির মালিকানাধীন অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলিও আজ ব্যাপক জনপ্রিয়।
WhatsApp, Instagram, Oculus সহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের ডিভাইসে জায়গা করে নিয়েছে। পাশাপাশি Facebook আগামী দিনে Metaverse প্রোজেক্ট লঞ্চ করতে চলেছে। সম্ভবত এইসব কারনেই ‘ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ’ ট্যাগ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, মেটাভার্সের স্বপ্নকে সাকার করতে ফেসবুক ইতিমধ্যেই ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্গত দেশগুলি থেকে ১০,০০০ কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে মেটাভার্সের মতো ভার্চুয়াল দুনিয়া প্রস্তুত সম্ভব হলে তা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিসরে বহু নতুন সুযোগের জন্ম দেবে বলে ফেসবুক মনে করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ইনকরপোরেশন তাদের নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে। এই পরিবর্তন আসতে পারে আগামী সপ্তাহে।
মেটাভার্স কোম্পানি হিসেবে নিজেদের পুনর্গঠিত করতেই এই উদ্যোগ। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে দ্য ভার্জ।
প্রতিবছর ফেসবুকের কর্মীদের নিয়ে ‘কানেক্ট’ নামের একটি সম্মেলন হয়। ২৮ অক্টোবর বার্ষিক ওই সম্মেলন হওয়ার কথা।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী আসন্ন সম্মেলনে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। তার আগেই নতুন নাম জানা যেতে পারে।
মেটাভার্স বলতে বোঝায় একটি ভার্চুয়াল জগৎ। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই মানুষ এ জগতের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। এ জগৎ বাস্তবতার সঙ্গে ডিজিটাল সংমিশ্রণ।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অথবা অগমেন্টেড রিয়েলিটির মাধ্যমে গড়ে ওঠার কারণে এই জগতে ব্যবহারকারীদের নিজেকে আরও জীবন্ত মনে হবে।