অনলাইন ডেস্ক: ‘মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার আগে কী কী ঘাটতি আছে, তা খুঁজে বের করে তারপর এগোতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিকিৎসকরা প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন না। তাই এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দরকার।
বাংলাদেশে একটা রেগুলেটরি কমিটি থাকা দরকার। কিন্তু তা ১৫ বছরেও হয়নি। কেউ যদি ভুল চিকিৎসা করে থাকেন, তাদের এর আওতায় আনতে হবে। এমন সুযোগ না থাকলে তো আমরা বুঝতে পারব না কে চিকিৎসা দেয়ার জন্য উপযুক্ত।’
তিনি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আইন, নীতিমালা ও কৌশলপত্র প্রণয়নসহ বাংলাদেশের বেশকিছু প্রণিধানযোগ্য কাজ রয়েছে। এখন প্রয়োজন তৃণমূল পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। মানসিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি জনগণের ভেতরে মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করাও জরুরি।
পৃথিবীর কোনো দেশেই মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসাসেবা আশানুরূপ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য স্ট্রাটেজিক প্ল্যানের লিড কনসালট্যান্ট সায়মা ওয়াজেদ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত নয়। এ খাতে কাজ করার অনেক কিছু রয়েছে।’
তিনি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আইন, নীতিমালা ও কৌশলপত্র প্রণয়নসহ বাংলাদেশের বেশকিছু প্রণিধানযোগ্য কাজ রয়েছে। এখন প্রয়োজন তৃণমূল পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। মানসিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি জনগণের ভেতরে মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করাও জরুরি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপ্তি বাড়ানো এবং একে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই করতে জনবল গড়ে তোলার পাশাপাশি পর্যাপ্ত বাজেট দেওয়া জরুরি। বর্তমান সরকার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ১৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কোনো না কোনোভাবে মানসিক রোগে ভুগছেন। শিশুদের ক্ষেত্রে এ হার ১২ শতাংশ। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বেশকিছু উদ্যোগ ও প্রস্তাব দিয়েছেন।
এগুলো দেশের মানুষের জন্য কল্যাণ হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে প্রস্তাবগুলোর প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও মানসিক চিকিৎসার প্রয়োগ করা হবে।
পাবনা মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে চিকিৎসার পাশাপাশি অত্যাধুনিক মানের ট্রেনিং সেন্টার করা হবে। করোনায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এশিয়ায় এমনকি বিশ্বেও রোল মডেল হতে পারবে।