২০১৩ সালে ঢাকাই ছবিতে নাম লিখিয়েছেন। ছবি করেছেন হাতেগোনা ৩০ টি। ছবির মন্দার বাজারে তার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ১০ লাখ টাকা ধরলেও ২০১৩ থেকে এ পর্যন্ত তার আয় ৩ কোটি টাকার বেশি নয়।
পাশাপাশি এই সময়ে কিছু বিজ্ঞাপনচিত্র করেছেন সেখান থেকে যদি তার উপার্জন আরও ২ কোটি টাকা ধরে না হয় তাহলে তার সাকুল্যে গত ৮ বছরে উপার্জন হল ৫ কোটি টাকা।
অর্থাৎ বছরে ১ কোটি টাকারও কম। কিন্তু পরীমনি যে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন সেটি এই টাকা দিয়ে মোটেও সম্ভব না। তাই এখন পরীমনি বিতর্কে নতুন বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে তার বিত্তের উৎস। কিভাবে পরীমনি এতো রাজকীয় জীবনযাপন করেন। আর এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা পরীমনির বোট ক্লাবের ঘটনা তদন্তের জন্য জরুরী বলে মনে করছেন আসামিপক্ষ।
তারা বলছেন যে, পরীমনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর মাধ্যমে বিপুল বিত্তের মালিক হয়েছেন এবং নাসির ইউ. আহমেদকেও ফাঁসানোর জন্যই এই নাটকটি সাজিয়েছেন।
এখন পরীমনি সাভার থানায় একটি মামলা করেছেন। সেই মামলাটি এখন ডিবি তদন্ত করছে। ডিবি তদন্তের স্বার্থে যেকোনো তথ্য প্রকাশ গোপন রাখছেন। কিন্তু যারা অভিযুক্ত আসামি, যাদেরকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে আনা হয়েছে তারা জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুধু এই অভিযুক্ত এই রিমান্ডে থাকা আসামিরা নয় বিভিন্ন সূত্র এখন পরীমনির ব্যাপারে তথ্য দিচ্ছেন। পরীমনি যেমন বোট ক্লাব ছাড়াও অল কমিউনিটি ক্লাব এবং বনানী ক্লাবে ভাংচুরের অভিযোগ এসেছে। ঠিক একইভাবে একাধিক ব্যবসায়ীকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
অবশ্য ব্যবসায়ীরা যেহেতু মামলাটির তদন্ত চলছে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। কিন্তু তারা বিভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করছেন যে পরীমনির এই বিত্ত বৈভবের জীবন কিভাবে সম্ভব। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অবিসংবাদিত নায়ক হলেন শাকিব খান। শাকিব খানই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া তারকা এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি ঢাকাই ছবিতে রাজত্ব করছেন।
ঢাকাই ছবির একজন প্রযোজক বলেছেন যে, শাকিব খানও পরীমনির মতো বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন না। পরীমনির একাধিক দামি গাড়ি রয়েছে। তার বনানীর ফ্ল্যাট রয়েছে। যে ফ্ল্যাটটির দাম ২০ কোটি টাকার ওপর। এছাড়াও রয়েছে আরও একাধিক সম্পত্তি। পরীমনি যখন যেখানে যান সেখানেই চলে যেতে পারেন।
তিনি দেশের বাইরে যান। তিনি ব্যক্তিগতভাবে একজন কস্টিউম ডিজাইনার রেখেছেন যাকে তিনি মাসিক বেতন দেন। এছাড়াও তার আরো অনেক সম্পত্তি রয়েছে বলে বিভিন্ন মহল দাবি করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে যে বৈধ পন্থায় শুধু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বা শিল্পী হিসেবে এই বিপুল বিত্তের মালিক হওয়া উচিত না এবং একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন যে, পরীমনির যে ঘটনাটি বোট ক্লাবে ঘটেছে সে রকম আরো অনেকের সাথেই ঘটিয়েছেন।
একটি ঘটনা ঘটিয়ে কাউকে ব্ল্যাকমেইল করা পরীমনির একটি একটি বড় বৈশিষ্ট্য এবং এটি অতীতেও ঘটেছে। তবে এ ব্যাপারে পরীমনি বা ভুক্তভোগীকারী কারো বক্তব্যই পাওয়া যায়নি। পরীমনির বাড়ির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে পরীমনি এখন অসুস্থ। তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে পারছেন না।
বাংলা ইনসাইডার