ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনার পর পরীমনি বিতর্ক থামছে না। ঢাকাই ছবির এই নায়িকাকে নিয়ে নিত্য নতুন তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। আর এসব তথ্যের মধ্যে নতুন করে আলোচনায় আসছে পরীমনির নতুন বয়ফ্রেন্ড প্রসঙ্গ।
পরীমনি পোষাক বদলের মতো বয়ফ্রেন্ড বদল করেন, এমন কথা সিনেমা পাড়ায় ভালোই প্রচলিত। লাভগুরুর সাথে দীর্ঘ প্রেমের পর পরীমনি বিয়ে করেন কামরুজ্জামান রনি নামে এক সহকারী পরিচালককে। ঐ বিয়ে একমাসও টেকেনি বলেই জানা যায়। এরপর আবার লাভগুরুর সাথে পরীমনির সম্পর্কের খবরেরও গুঞ্জন শোনা যায়।
তবে এটা এখন স্রেফ বন্ধুত্ব বলেও বলেন পরীমনির ঘনিষ্ঠরা। এরমধ্যে বোট ক্লাবের ঘটনার পর পরীমনির নতুন সঙ্গী হিসেবে দুজনের নাম সামনে এসেছে। এরা হলেন অমি এবং জিমি। এই দুজনের মধ্যে একজন আটক। অন্যজন বাইরে। দুজনই পরীমনির সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন গত কয়েকমাস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অমি এবং জিমিকে নিয়ে নৈশ বিহারে বের হতেন পরীমনি। এদের মধ্যে অমি ছিলেন ধনাঢ্য। আদম ব্যবসাসহ নানা ব্যবসা ছিলো অমির। গত কিছুদিন অমি নিয়মিত পরীমনির বাসায় যেতেন। সেখানে সময় কাটাতেন। পরীমনি নিজেই এই তথ্য স্বীকার করেছেন গণমাধ্যমের কাছে। অমির সঙ্গে কি সম্পর্ক ছিলো পরীমনির?
কোন প্রয়োজন ছাড়া একজন মানুষ কিভাবে আরেক জনের বাসায় নিয়মিত যায়? অমি পরীমনিকে নিয়ে ছবির প্রযোজনা করবেন বলেও গুঞ্জন ছিলো। অমি কে পরীমনির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন জিমি। জিমিকে নিয়েও এখন গুঞ্জন তুঙ্গে। জিমি নিজেকে পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে পরিচয় দিতেন। ঢাকার চলচ্চিত্রে এখন বন্ধ্যা অবস্থা।
ছবিই নেই, সেখানে ৩০ ছবির এক নায়িকা কিভাবে ব্যক্তিগত কস্টিউম ডিজাইনার নিয়োগ দেন সেও এক প্রশ্ন। তারচেয়েও বড় প্রশ্ন, কস্টিউম ডিজাইনার সারাদিন কি করেন নায়িকার বাসায়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জিমি মাঝে মাঝে পরীমনির বাড়িতেই থাকতেন। জিমি একজন ইয়াবা আসক্ত বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
ইয়াবাসহ জিমি দুবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। তাই, পরীমনির এই দুই সঙ্গীকে নিয়ে এখন নানা আলোচনা চলছে। এরা কি পরীমনির স্রেফ বন্ধু, প্রেমিক নাকি পরীমনি এদের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতেন? বোট ক্লাবের ঘটনার পর অমি গ্রেপ্তার হয়েছেন। জিমিকেও এখন পরীমনির সঙ্গে দেখা যাচ্ছে না।