মুনিয়া মৃত্যুর তদন্ত শেষ পর্যায়ে। তদন্তের শেষ পর্যায়ে এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে, নুসরাতই মুনিয়ার মৃত্যুর প্রধান কারণ। তবে, এটি আত্মহত্যার প্ররোচনা না হত্যাকাণ্ড সেটি চূড়ান্ত হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর।
তদন্তকারীদের সূত্রগুলো বলছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে মুনিয়ার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে। কিন্তু এই মৃত্যুর জন্য যে প্রধানত দায়ি তিনি হলেন, নুসরাত।
নুসরাত কাউকে দিয়ে মুনিয়াকে হত্যা করেছেন না আত্মহত্যার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছেন, সেটি তদন্তেও অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, মুনিয়ার মৃত্যুর আগে মুনিয়ার ফ্ল্যাটে যারা গিয়েছিলেন, তারা প্রত্যেকেই নুসরাতের লোক। এদের সাথে নুসরাতের আগের কিছু ছবিও পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন উঠেছে, এটা মুনিয়ার মৃত্যুর আগে ঐ ফ্লাটে গিয়েছিল কেন? মুনিয়ার মৃত্যুর আগের দিন গত ২৫ এপ্রিল অন্তত ৪ জন মুনিয়ার ফ্ল্যাটে গিয়েছিল।
এদের প্রত্যেকেই আগেও এই ফ্ল্যাটে গেছে এবং এরা নুসরাতের পূর্ব পরিচিত। ফ্ল্যাটের একাধিক নিরাপত্তা কর্মী এদের নুসরাতের লোক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাহলে, কি নুসরাতের লোকজনই মুনিয়ার ফ্ল্যাটে গিয়ে তাকে হত্যা করেছে?
বিভিন্ন সূত্র বলছে, মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে কিনা, তা নির্ভর করছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর। ময়নাতদন্তে যদি পাওয়া যায় মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে, তাহলে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা চলবে না।
এটি চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়ে দেয়া হবে। তখন মুনিয়ার বড় ভাই সবুজের করা মামলার তদন্ত শুরু হবে। সেই মামলার আসামী শারুন এবং নুসরাত।
আর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যদি দেখা যায়, মুনিয়া আত্মহত্যা করেছে, সেক্ষেত্রেও আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন নুসরাত এবং শারুন।
কারণ, মুনিয়ার মৃত্যুর ৭২ ঘন্টা আগে মুনিয়ার সঙ্গে কথা ও মেসেজ বিনিময় হয়েছে শুধু নুসরাত আর শারুনের। তাই মুনিয়াকে যদি কেউ আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করে বা চাপ সৃষ্টি করে, সেক্ষেত্রে ঐ দুজনই তা করেছেন।
কারণ কোন রকম যোগাযোগ ছাড়া কেউ কাউকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিতে পারে না।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, মুনিয়ার মৃত্যুর একটি তৃতীয় কারণও থাকতে পারে, তা হলো, অতিরিক্ত মাদক গ্রহণ। সেটিও ময়নাতদন্তের ওপরই নির্ভর করছে।
বাংলা ইনসাইডার