অনলাইন ডেস্ক: গত সোমবার রাতে দুই দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেটের দোকান মালিক কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ গড়ায়। মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সারাদিন সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন, তাদের মধ্যে দুজন পরে মারা যান।
সংঘর্ষের সময় আহতদের মধ্যে নাহিদ মিয়া নামে ১৮ বছর বয়সি এক তরুণকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।
নাহিদ এলিফ্যান্ট রোডের ডাটা টেক কম্পিউটার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারি অ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। তার চাচা মো. সাঈদ বুধবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আর ২৬ বছর বয়সি মোরসালিন নিউ সুপার মার্কেটের একটি তৈরি পোশাকের দোকানে কাজ করতেন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নুরজাহান মার্কেটের সামনে ইটের আঘাতে আহত হন তিনি। বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে দোকান কর্মচারী মো. মোরসালিন নিহত হওয়ার ঘটনায় আরেকটি হত্যা মামলায় হয়েছে থানায়।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাতে মোরসালিনের বড় ভাই নুর মোহাম্মদের দায়ের করা এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে আজ শুক্রবার নিউ মার্কেট জোনের পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শাহেনশাহ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নাহিদ মিয়া হত্যা মামলার মতো এ মামলাটিও গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে তদন্তের জন্য। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
বিস্ফোরক আইনে পুলিশের দায়ের করা এক মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাওপোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেয়ার অভিযোগে আরেক মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে নিউ মার্কেটের অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ ব্যবসায়ী ও কর্মী এবং ৬০০-৭০০ কলেজশিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে।