নাম সর্বস্ব নিউজ চ্যানেল, চ্যানেল এস এ সম্প্রতি প্রচারিত এক নিউজে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। চ্যানেলটি তাদের এক নিউজে দাবী করে যুক্তরাজ্যে পড়তে আসা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনিয়ম ও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। নিউজের এক পর্যায়ে তারা দাবী করে বাংলাদেশী ছাত্রীগন অর্থাভাবে পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ছে।
ভুইফোর চ্যানেলটি তাদের নিউজে কতিপয় ব্যাক্তিবর্গের স্বাক্ষাতকার প্রচার করে, যাদের কাছে এসংক্রান্ত কোন ধরনের সঠিক তথ্য নেই। স্বাক্ষাতকারে দেখা যায় একজন কে দেয়ালে লাগানো বড় ব্যানারের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এটি একটি আর্ট, যা কয়েকদিন পর পর পরিবর্তন করা হয়, এই ছবির সাথে বাংলাদেশী ছাত্র/ছাত্রীদের কি যোগসাজশ তা কারো বোধগম্য হয়নি। এধরনের নিন্ম মানের হলুদ সাংবাদিকতা ও সামান্য ভিউ পাওয়ার আশায় নিজেদের কমিউনিটির উপর মিথ্যা নিউজ তৈরী করে এই চ্যানেলটি তাদের অযোগ্যতা ও অসাড়তার প্রমান করেছে।
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা অনেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। এপ্রসঙ্গে ব্যারিস্টার কানিস ফাতিমা তার এক পোষ্টে লিখেন,
এই অপমান সকল ছাত্র-ছাত্রীদের! ! এই অপমান বাংলাদেশিদের!!
চ্যানেল এস এর সম্প্রতি করা নিউজে দেখলাম বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আসা ছাত্রীরা নাকি কাজের অভাবে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে!
তারা কিসের ভিত্তিতে এমন নিউজ করলো বুঝলাম না॥
সত্যতা কত টুকু এই নিউজের?
তারা কতজন এই ধরনের ছাত্রীর কাছ থেকে ইনটারভিউ নিয়ে জিনিস টার সত্যতা যাচাই করেছে?
এই খবরটা যে সঠিক তারা কি ভাবে জানলো? তারা রেফারেন্স হিসাবে বলছে যে, হোইটচ্যাপল স্টেশনের পাশের দোকানে লাগানো ম্যাসাজের এড!
যে টা গত ১৫ বছর ধরে দেখে আসছি!!! এই ছাত্রীরা তো এখন আসছে তাহলে গত ১৫ বছর ধরে কারা করেছে এই কাজ!
যে দেয়াল আর্টের কথা বলা হয়েছে সেটা যে বাংলাদেশী ছাত্র/ছাত্রীদের ব্যবসা এটা কিভাবে নিশ্চিত হলেন?
তিনি আরো বলেন, অবাক হলাম দেখে যে কমিউনিটির বড বড সমাজ কর্মী আপারা বা সোস্যাল মিডিয়ার স্বঘোষিত সেলিব্রেটি আপারা কেউ ই এই সংবাদের একটা নিম্নতম প্রতিবাদ ও করলো না!
তিনি কমিউনিটি সদস্যদের নিন্দা জানিয়ে বলেন, আপনাদের কারো কি নজরে পড়ে নি? নাকি কারো মনে হয়নি যে এর প্রতিবাদ করা উচিত? কেউ কি ভেবে দেখেছেন দেশ থেকে আসা ছাত্রীদের অভিভাবকদের এই সংবাদ দেখলে কেমন লাগবে?
কোন অভিভাবক কি আর তার সন্তানদের পাঠাবে উঁচ্চ শিক্ষার জন্য?
তাতে কাদের ক্ষতি হবে ভেবে দেখেন।
তিনি রিপোর্টারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন – আপনার সংবাদের মাধ্যমে আপনি কি জানাতে চেয়েছেন? আপনি কি অভিভাবকদের সতর্ক করলেন নাকি বর্তমানে আসা ছাত্রীদের অপমান করলেন? আপনাদের আসল উদ্দেশ্য টা কি?
শুধুমাত্র ভিউয়ের আশায় নাম প্রচারিত নাম সর্বস্ব চ্যানেল এস এর ভুয়া নিউজের প্রতিবাদে রাইটস ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে আগামী ২৫ জানুয়ারী বুধবার, দুপুর ১.৩০ মিনিটে ইষ্ট লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে এক প্রতিবাদ সভা ও মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সকল ছাত্র ছাত্রী ও বাংলাদেশী কমিউনিটির সকল সচেতন নাগরিকগনকে প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহন ও সংহতি প্রকাশ করার জন্য রাইটস ইন্টারন্যাশনাল এর পক্ষ থেকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।