21 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

নতুন নেতৃত্বের খোঁজে আওয়ামী লীগ

বিডিনিউজ ডেস্ক

চাকুরির খবর

করোনার কারণে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড একরকম বন্ধই আছে। কিন্তু এই সীমিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যেও আওয়ামী লীগের মূল আলোচনা নতুন কাউন্সিল অধিবেশন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো দ্রুত কাউন্সিল ডাকবেন।

এ ব্যাপারে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার কাছে ইতিবাচক ইঙ্গিত রয়েছে বলে তারা দাবি করছেন। আর এবারের কাউন্সিল হবে আওয়ামী লীগের জন্য নানা দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ।

২০২৩ এর শেষে নতুন সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সংসদ নির্বাচনটি সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী  এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি`র শেষ নির্বাচন হবে।

তিনি দলের নেতৃবৃন্দকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ২০২৩ বা ২৪ এর নির্বাচনের পর তিনি আর কোনো নির্বাচন করবেন না।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদিও শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তের সাথে এখন পর্যন্ত সহমত হন নি। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ দ্রুত একটি কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চায়। 

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের বিন্যাসে দলের সভাপতি অপরিহার্য এবং অনিবার্য। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে দলের সভাপতিত্ব করছেন। ৪০ বছরে তিনি আওয়ামী লীগকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

কাজেই তার কোনো বিকল্প নেই। আর শেখ হাসিনার বদলে অন্য কাউকে আওয়ামী লীগ সভাপতি করার চিন্তাও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা করেন না। কিন্তু শেখ হাসিনা সভাপতি থাকলেও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের খোলনলচে পাল্টে দেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

আগামী নির্বাচন এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির কারণে তরুণ নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসা একটি প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ একটি চ্যালেঞ্জিং নতুন নেতৃত্ব সামনে দাঁড় করাতে পারে। 

আওয়ামী লীগ সভাপতির পর দ্বিতীয় প্রধান পদ দলের সাধারণ সম্পাদক পদ। দলের সাধারণ সম্পাদক নিয়েই সবচেয়ে বেশি জল্পনা-কল্পনা থাকে।

আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবার দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী কাউন্সিল যখনই হোক তিনি যে আর দলের সাধারন সম্পাদক থাকছেন না এটা মোটামুটি নিশ্চিত।

তার বদলে কে সাধারণ সম্পাদক হবে এটাই আওয়ামী লীগের মূল আলোচনার বিষয়। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবুল আলম হানিফ, ডঃ আব্দুর রাজ্জাক, দীপু মনিসহ একাধিক নেতার নাম আলোচনা হচ্ছে। তবে সাধারণ সম্পাদক কে হবে তা শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

সাধারণ সম্পাদকের পরে দলের সবচেয়ে ক্ষমতাবান যে অংশটি সেটি হলো প্রেসিডিয়াম। প্রেসিডিয়ামের সদস্যদের মধ্যে ইতিমধ্যেই দুইজন মৃত্যুবরণ করেছেন। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে একজন অসুস্থ।

আর কয়েকজন প্রেসিডিয়াম মর্যাদা সমুন্নত রাখতে পারেননি বলেই মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে আব্দুল মান্নান খান কিংবা নুরুল ইসলাম নাহিদের মতো ব্যক্তিরা প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়ে দলের সাংগঠনিক কাজে কতটুকু মনোযোগী হয়েছেন সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আর সে কারণেই প্রেসিডিয়ামে তৃণমূল থেকে উঠে আসা ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। প্রেসিডিয়ামকে ঘিরে যেন সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি পায় সেটি আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। 

আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, কেন্দ্রীয় কমিটিটিকে এমনভাবে সাজানো হবে যেন পরবর্তী নির্বাচন উপযোগী করা হয়।

আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, শেখ হাসিনাদল এবং সরকারকে আলাদা করার যে কৌশল নিয়েছেন সেই কৌশলের আরো বেশি প্রতিফলন ঘটতে পারে আগামী কাউন্সিলে। তবে এবারের কাউন্সিলের মূল লক্ষ্য থাকবে নতুন নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসা।

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর