অনলাইন ডেস্ক: কারওয়ানবাজারে অধিকাংশ দোকানে দামের লিস্ট দেখেছি কিন্তু কিছু কিছু দোকানে দেখলাম না। আমার নির্দেশ রইলো, দোকানে যদি দামের লিস্ট না থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল এফবিসিসিআইতে ব্যবসায়ী সব নেতারা কথা দিয়ে গেছেন জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না। তারা ৪৬ জনের কমিটি করেছেন, ৪৬টি পণ্য তারা নিয়ন্ত্রণ করবেন।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোন ঘাটতি নেই উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে প্রতিটি পণ্যের মজুদ চাহিদার তুলনায় বেশি। ভোজ্য তেল, ডাল, চিনি মসলাসহ সকল পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি বলেন, ভ্যাট হার কমিয়ে দেওয়ার পরে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টন সয়াবিন তেল এসেছে। চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত মজুত আছে, কোনো সংকট নেই।
ভোক্তা অধিকারকে নির্দেশ, এই সময় যদি কেউ মানুষকে ঠকায়, বেশি দামে বিক্রি করে, তাহলে কোনো ছাড় দেবেন না ।
তিনি আরও বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উপর থেকে যে ট্যাক্স-ভ্যাট কমিয়েছে, তার সুফল ভোক্তারা পাচ্ছেন। মন্ত্রী জানান, বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তারা গুরুত্বের সাথে কাজ করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি বলেন, ‘পাইকারি বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে বিভিন্ন খুচরা বাজারে যখন যায়, তখন দূরত্ব বিবেচনায় যারা কারওয়ানবাজার থেকে নিয়ে উত্তরা বা গাজীপুরে বিক্রি করছে, পরিবহন খরচের পার্থক্য আছে; লাখ লাখ খুচরা বিক্রেতা সেখানে কিছু পার্থক্য থাকতে পারে।
পাইকারি বাজারে যেন দামটা ঠিক করা যায়। সেটা হলে আমার ধারণা, হয়তো প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১-২ টাকা বাড়তে পারে। সে রকমই লক্ষ করছি।’