তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসময় ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে, ক্যাবল নেটওয়ার্ক সিস্টেমকেও ডিজিটাল হতে হবে।
কারণ এটি না হলে, গ্রাহকরা ঠিক সেবা পাচ্ছে না, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সরকারও ঠিক রাজস্ব পাচ্ছে না।’
‘বিশেষ কিছু ব্যক্তিবর্গের হাতে এই নেটওয়ার্ক কুক্ষিগত থাকতে পারে না’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘দেখা গেছে একেকজন কেবল নেটওয়ার্ক লাইসেন্সধারী লক্ষ লক্ষ সংযোগ দিয়েছেন, কিন্তু হিসেবের খাতায় দু-দশ হাজার দেখাচ্ছেন।
মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করবে, যিনি যে এলাকার জন্য লাইসেন্স পেয়েছেন সেই এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন, সেজন্য প্রয়োজনে আমরা কোর্ট পরিচালনা করবো।’
নবায়ন না করার ফলে ইতোমধ্যেই ১২শ’ লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে আত্মপ্রকাশের শর্তে নতুন অপারেটররা লাইসেন্স পাবেন।’
এসোসিয়েশন অভ টিভি চ্যানেল ওনার্স-এটকো’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, ক্যাবল অপারেটর প্রতিনিধিদের মধ্যে এস এম আনোয়ার পারভেজ, এবিএম সাইফুল হোসেন, মোহাম্মদ নাজমুদ্দোহা, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কোয়াব প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তফা জামাল হায়দার এবং মন্ত্রণালয় ও বিটিভি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় অংশ নেন।
করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রথমবার সাধারণ ছুটিতেও আমাদের মন্ত্রণালয় কাজ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, তথ্য অধিদফতর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, এগুলো জরুরি সেবার আওতাভুক্ত। তাদেরকে কাজ করতেই হয় এবং সেটি দেখভাল করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সীমিত কাজ করতে হয়।
আমরা ঠিক অতীতে যেভাবে করেছি, সেভাবেই করবো। করোনার শুরু থেকেই আমরা যেভাবে জনগণকে সচেতন করার জন্য যে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করেছি, সেটি আরো জোরদার করার ব্যবস্থা নিয়েছি।