অনলাইন ডেস্ক: ফায়ার সার্ভিসের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে দেশে আগুনে মারা গেছেন ২১৯ জন। যার মধ্যে শুধু ঢাকাতেই মৃত্যু হয় ১৮০ জনের। দেশে সাধারণ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস সক্ষম হলেও কেমিকেলের আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় সংস্থাটিকে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন বলেন, সবাই ভবন নির্মাণ করতে চাইলেও, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য টাকা খরচ করতে চায় না কেউ। অগ্নি-নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। আগুনের বিষয়ে শিশুদের সচেতন করতে তাদের পাঠ্যসূচিতেও এসব বিষয় রাখা দরকার।
নানা পদক্ষেপ ও সুপারিশের পরও দেশে কমছেই না অগ্নি-দুর্ঘটনা। এর মধ্যে ৩৭ শতাংশ অগ্নি-দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, ১৮ শতাংশ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত রান্নাঘর থেকে এবং ১৫ শতাংশ ঘটে সিগারেটের আগুন থেকে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন বলেন, সবাই ভবন নির্মাণ করতে চাইলেও, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য টাকা খরচ করতে চায় না কেউ। অগ্নি-নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। আগুনের বিষয়ে শিশুদের সচেতন করতে তাদের পাঠ্যসূচিতেও এসব বিষয় রাখা দরকার।
আলোচনায় নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব জানান, অগ্নিনিরাপত্তায় নীতিমালা থাকলেও, বাস্তবায়ন নেই। ঝুঁকি কমাতে শিল্পকারখানাগুলোতে নিয়মিত নজরদারি করা দরকার।
অনুষ্ঠানে উত্তর ঢাকার মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, বার বার বলার পরেও যদি কোনো ভবনে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে তবে এখন থেকে জরিমানা করা হবে। কোথাও আগুন লাগলে যাতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে অসুবিধা না হয় এজন্য, ২০ ফুটের কম কোনো সড়ক না রাখার ওপরও জোর দেন উত্তর ঢাকার মেয়র।