অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে যেকোনো বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। দেশের যেকোনো দুর্যোগে সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে যায় আওয়ামী লীগ।
ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যাকবলিত সিলেট অঞ্চলে গিয়েছিলেন। আমরা তাদের কিছু বলতে চাই না। আমরা জবাব দেব কাজ দিয়ে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঈগিত করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনি এবং আপনার সহকর্মীরা আওয়ামী লীগের নেত্রীকে আক্রমণ করে যে ভাষা প্রয়োগ করেন, এটা কোনো ভদ্রলোকের ভাষা নয়। এটা রাস্তার ভাষা। তারা রাস্তার ভাষায় কথা বলে। আমরা রাজনীতির ভাষায় কথা বলি। এটা হলো, তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা ঢাকায় বসে লিভ সার্ভিস দেয়, ভাষণ শিল্পের বিকাশ ঘটায় এবং ঘরে বসে প্রেস ব্রিফিং করে, তারাই এ ধরনের কথা বলতে পারে। তারা (বিএনপি) মানুষের পাশে দাঁড়ায় না।
যদিও কখনও যায়, সেটা হলো নামমাত্র ফটো সেশনের জন্য। আমরা সবসময় দেখে আসছি, বিএনপি নেতারা এটাই করে। তাদের ত্রাণ কার্যক্রম এক ধরনের ত্রাণ বিলাস। ত্রাণ বিতরণের চেয়ে প্রেস ব্রিফিং ও ফটো সেশনে অধিক মনোযোগী তারা।
বিএনপির ঈদের পরে আন্দোলন প্রসঙ্গে সরকারি দলের এই মন্ত্রী বলেন, আন্দোলন, কিসের আন্দোলন, কবে হয়েছিল আন্দোলন। শুনেছিলাম বহুবার, ডাক দিয়েছিল ঈদের পর, ডাক দিয়েছিল পরীক্ষার পর।
এখন আবার ডাক দিচ্ছেন বন্যার পর। দেখতে দেখতে ১৩ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? দেশের মানুষ জানে, তাদের আন্দোলনের ডাক আষাঢ়ে গর্জনের মতো। এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।