অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন নাট্যজন ম হামিদ।
এর আগে, গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। করোনা পজিটিভ হলে গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। তারপর করোনা নেগেটিভ আসে। কিন্তু করোনা পরবর্তী জটিলতার কারণে আবারও তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিলো। অবশেষে আজ না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি পরিবারের পক্ষ থেকে তার বড় ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন।
এদিকে, দেশবরেণ্য এ অভিনেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। এক শোকবার্তায় সচিব মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মৃত্যুকালে এ বরেণ্য অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় মাহমুদ সাজ্জাদের মেজো ভাই ম হামিদ বাংলাদেশের টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক ও ছোট ভাই কে এম খালিদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন। মাহমুদ সাজ্জাদের স্ত্রী মমতাজ বেগম; উপল ও অঞ্জন নামে তাদের দুই সন্তান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, জহির রায়হান পরিচালিত ‘সংসার’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন মাহমুদ সাজ্জাদ। পরে তিনি খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘ঝড়ের পাখি’, ‘আপন পর’, আজিজ আজহারের ‘চোখের জলে’-সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিতে অভিনয় করে পরিচিতি পান।
এক সময় মঞ্চ নাটকে সরব হয়ে পড়েন মাহমুদ সাজ্জাদ। সেই সঙ্গে টেলিভিশন নাটকেও ব্যস্ততা বাড়ে। টেলিভিশনে তার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘সকাল-সন্ধ্যা’। ৭৩ বছর বয়সী মাহমুদ সাজ্জাদ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই নাট্যচক্রের সঙ্গে জড়িত। এই দলের হয়ে অভিনয় করেছেন ‘লেট দেয়ার বি লাইট’, ‘স্পার্টাকাস’ ও ‘জনক’-সহ বেশ কিছু নাটকে।