বিডিনিউজ ডেস্ক: হঠাৎ করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পরপর দু’দিন দু’টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। দু’টি সড়ক দুর্ঘটনাই ঘটেছে সিটি কর্পোরেশনের গাড়িতে। একটিতে মারা গেছেন নটরডেম কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী, আরেকটিতে মারা গেছেন গণমাধ্যমকর্মী।
অর্থাৎ নিরাপদ সড়কের আন্দোলন উস্কে দেওয়ার জন্য যে দু’টি শ্রেণীর মানুষকে সবচেয়ে উত্যক্ত করা দরকার সেই দু’টি শ্রেণীর মানুষকে উত্যক্ত করা হয়েছে। দু’টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা কাকতালীয় নাকি এর পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে তা বিশ্লেষণের দাবি রাখে।
যে সময়ে হাফ-পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন সেই সময়ে হঠাৎ করে কেন সড়কে প্রাণ ঝরলো, সে নিয়েও প্রশ্ন। আবার এই প্রাণ ঝরার ক্ষেত্রে দুই সিটি করপোরেশনের গাড়িই বা কেন ব্যবহৃত হলো সেটিও এক বড় ধরনের রহস্য।
একদিকে যখন বিএনপি ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং সেই কর্মসূচিতে ধাপে ধাপে লোকসমাগম বেড়েছে, ঠিক সেই সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমেছে।
অথচ সরকার নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য নূন্যতম যে উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার তা নেয়ারও চেষ্টা করছে না।
আর এর ফলে নতুন করে একটি প্রশ্ন উঠেছে যে, এই নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আন্দোলন, দু’টি কি একই সূত্রে গাঁথা কিনা?