অনলাইন ডেস্ক: ডিম আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না– জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানির বিষয়টি অন্যভাবে আমরা বিবেচনা করব। এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে কি করবে না, এটি তাদের… (বিষয়)। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, দেশে যে উৎপাদন আছে, বাজার ব্যবস্থার বিন্যাস করতে পারলে আমদানির প্রয়োজন হবে না।
আপনারা অনুমতি দিলেই ডিম আমদানি করবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে আপনাদের সিদ্ধান্ত কী– সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে শ ম রেজাউল করিম বলেন, পোল্ট্রি খাতে একটি বিশাল বিপ্লব এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে এ খাতে উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু ডিমের বাজারমূল্য অস্বাভাবিক হওয়ায় অংশীজনদের নিয়ে আজ মন্ত্রণালয়ে সচিবের নেতৃত্বে একটি সভা হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সার্ভে অনুযায়ী, একটি ডিম উৎপাদনে সাড়ে ১০ টাকার ওপর খরচ পড়ে। তারপর অন্যান্য ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে কিছু লাভের বিষয় থাকে।
‘আমার কাছে মনে হয়েছে, একটি ডিমের দাম ১২ টাকার বেশি নির্ধারিত হওয়া উচিত নয়। ১২ টাকা নির্ধারিত হলে যারা উৎপাদনকারী তাদের লাভ হবে।’
আজ বাজারে ১৭০ টাকা ডিমের ডজন, এই দায় আসলে কার– এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা উৎপাদনকারীদের বিভিন্নভাবে অনুরোধ করেছি, বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এরপরও যদি কেউ জনদুর্ভোগ ডেকে নিয়ে আসেন তা দেখভাল করার জন্য ভোক্তা অধিকার আইন আছে। ভোক্তাদের অধিকার দেখার জন্য কর্তৃপক্ষ আছে। তারা প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবেন।
ডিমের দাম আপনারা নির্ধারণ করে দেবেন কি না– জানতে চাইলে শ ম রেজাউল করিম বলেন, এটা দাম নির্ধারণ করার বিষয় নয়। এর আগে ২০১০ সালে ছোটো বাচ্চা মুরগি ও অন্যান্য বিষয়ের দাম নির্ধারণের বিষয় উঠেছিল। সেক্ষেত্রে আদালত প্রশ্ন তুলেছিলেন, মন্ত্রণালয় এভাবে দাম নির্ধারণ করে দিতে পারে না।