গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হঠাৎ চন্দ্রদিঘলিয়া স্টেশনে পৌঁছানোর পর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কর্তব্যরত এলএম গণ লোকোমোটিভটি একেবারে Shutdown করতে বাধ্য হন। সেকারণে সম্মানিত সকল যাত্রীগণের গন্তব্যে পৌঁছানোটা একপর্যায়ে অনিশ্চিত হয়ে
পড়ে !
অনেক্ষণ যাবৎ ট্রেনের এসএলএম, এলএম এবং পাওয়ারকার ড্রাইভারগণ অনেক চেষ্টা করে যখন লোকোমোটিভটি সচল করার আশা ছেড়ে দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই তীব্র শীত উপেক্ষা করে, সবার অলক্ষ্যে, অন্ধকার ভেদ করে, বিনা আমন্ত্রনে এবং উদ্বিগ্ন যাত্রীগণের গন্তব্যে পৌছানোর দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে অন্ত্যান্ত অভিজ্ঞ, দক্ষতা ও স্বাভাবিকতার সহিত টুলস্ , রেঞ্জ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির পরিচয়ে সর্বোপরি যাত্রীসেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে লোকোমোটিভটি মেরামতের কাজে নেমে পড়লেন।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, অন্যান্য যেসকল Mechanical Department এর কর্মচারীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে সবাই দর্শকের ভুমিকায় চলে গেলেন আর তিনি Accounts Department এ কর্মরত ও অনভিজ্ঞ হয়েও তীব্র মনোবল এবং আত্নবিশ্বাসের সহিত একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ Engineer বনে গিয়ে আল্লাহর রহমতে এবং সকলের দোয়ায় কল্পনাতীতভাবে টুকটাক আর ঠুনঠান রেঞ্জ হাতুড়ির শব্দে লোকোমোটিভটি সচল করে দিলেন!
অথচ, তাকে আমরা লাল কলম হাতে নিয়ে বিল নিরীক্ষক হিসেবেই রেলওয়ের কোনো হিসাব বিভাগের কার্যালয়ে দক্ষ, চৌকষ আর মেধাবী একজন অডিটর রুপে দেখে অভ্যস্ত !
তিনি আর কেউ নন,আমাদের পশ্চিমাঞ্চল হিসাব বিভাগের অতি প্রিয় ও সুপরিচিত মুখ, উজ্জল নক্ষত্র, অসাধারণ প্রতিভাবান, বিনয়ী, আধুনিক রুচিবোধসম্পন্ন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, সদালাপি, ভ্রমন প্রিয়, পরিশ্রমী, সাহসী, নিরহংকারী, শ্রমিক এবং কলিগ বান্ধব, সফল সাংগাঠনিক, সহনশীল, পরপোকারী, কর্তব্যনিষ্ঠ ইত্যাদি সব বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী জনাব “সুকান্ত মন্ডল”, অডিটর।
অধীন ডিএফএ/পাকশী এর কার্যালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, পাকশী। সেদিনের একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বিষয়টা প্রকাশ না করতে পেরে নিজেকে খুব দায়িত্বহীন, অকৃতজ্ঞ এবং অপরাধী লাগছিলো, কেননা তাঁর সেবাটা আমিও পেয়েছিলাম। ধন্যবাদ জনাব সুকান্ত মন্ডলকে, আমার অফুরন্ত আর্শীবাদ রইল।
ঘটনাটি ছিলো গত ২০ জানুয়ারি তারিখে যথারীতি টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে পুণ্যভূমি গোপালগঞ্জের দিকে ছুটে চলছিলো।