অনলাইন ডেস্ক: ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির উত্থান ঘটেছে পঁচাত্তরের পরবর্তী সময় জিয়ার শাসনামলে। তিনি শাহ আজিজের মতো স্বাধীনতাবিরোধীকে প্রধানমন্ত্রী এবং অনেক রাজাকারকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।’
‘জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দলকে পরিচালনা করছেন। পঁচাত্তরের পরবর্তী এক ভয়াবহ দুর্দিন-দুঃসময় থেকে তিনি দলের হাল ধরে শুধু দলকে নয়, দেশকেও উদ্ধার করছেন।
আমি দলের একজন সামান্য কর্মী হিসেবে তার নির্দেশে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি খুব ভালো করে জানেন, কাকে কোথায় দিলে দলের জন্য মঙ্গল হবে। ফলে কে হবেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক, তার বিচক্ষণতাই প্রমাণ দেবে।’
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে ধর্মীয় ও মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। দীর্ঘদিনের সেই সব জঞ্জালের ফলে এখন দেশ নানামুখী সংকটে আবর্তিত।
আমারা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, সেই সময় শাড়ি পরে নারীরা চমৎকারভাবে চলাফেরা করতেন। আর এখন টিপ পরলেই বিতর্ক, যেন আমরা পেছনের দিকে হাঁটছি।
‘আমাদের দেশে তিন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা আসলে একটা সংকট তো বটেই। সাধারণ বা সার্বজনীন শিক্ষা, ইংলিশ মিডিয়াম এবং মাদরাসাভিত্তিক। ফলে উচ্চবিত্তরা তাদের সন্তানদের ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ান। উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠান।
তারা অধিকাংশই আর দেশে ফিরেন না। আর যারা ফিরে তারা সার্বজনীন শিক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে সমন্বয় করতে পারেন না। যেমন, বিসিএস পরীক্ষার সিস্টেমের সঙ্গে তাদের একটা গ্যাপ তৈরি হয়।
যদিও কেউ কেউ ফিরে, ফিরে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করেন। আবার মাদরাসায় পড়েও তার বিপরীত চিত্র ঘটছে। প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী মাদরাসা থেকে বের হলেও নানা কারণে সিংহভাগ যুবক বেকার হয়ে পড়ছেন।
তাদের সঠিক কর্মসংস্থান হচ্ছে না। এই বহুমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা সমতা আনার জন্য সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে এবং পদক্ষেপ নিবে।