‘জননেত্রী’ শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণেই আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানরগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণে আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছি, তাই বলে অনেক নেতাকর্মীর মধ্যে আলস্য এসেছে। এটি কাম্য নয়।
আমি দলের তরুণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি- আপনারা যদি আস্ফালন করেন, তাহলে মানুষ উন্নয়নের কথা ভুলে যাবে। আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। জনগণ আমাদেরকে রায় দেবে না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে উন্নয়নের সঙ্গে যদি বিনয় যুক্ত হয় তাহলে দেশের মানুষ আবারও রায় দিয়ে আওয়ামী লীগকে এই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘গত ৪০ বছর ধরে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে, ২১ বছর ধরে আমাদের শুনতে হয়েছে আওয়ামী লীগ কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে না। যারা সেই কথা বলতো তাদের আস্ফালনকে মিথ্যে প্রমাণিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে (আওয়ামী লীগ) চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার সার্থকতা হচ্ছে, পাকিস্তানিরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পর বলতো বাংলাদেশ আদৌ রাষ্ট্র হিসেবে ঠিকে থাকতে পারবে কি-না।
সেই পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কারণ আমরা মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে গেছি।
মানব উন্নয়ন ও সামাজিক সূচকে অনেক আগেই ভারতকে অতিক্রম করেছি আমরা। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়ে বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যাতে এদেশে আসতে না পারেন সেজন্য তৎকালীন জিয়াউর রহমানের সরকার বহু ষড়যন্ত্র করেছে।
জিয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিল শেখ হাসিনা যদি এদেশে আসে তাহলে এদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।
বহু রক্তচক্ষু ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার দেশে আসা নিষ্কণ্টক ছিল না।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
এছাড়া সভায় আরও বক্তব্য দেন- মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, আলহাজ আবদুচ ছালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আলহাজ দিদারুল আলম চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আবদুল লতিফ টিপু, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি, হাজী ইউনুছ কোম্পানি প্রমুখ।