22 C
Dhaka
Tuesday, December 3, 2024

ছয় দফার মাধ্যমেই অর্জিত হয় স্বাধীনতা: প্রধানমন্ত্রী

বিডিনিউজ ডেস্ক

চাকুরির খবর

ঐতিহাসিক ছয় দফাকে ‘বাঙালির মুক্তির সনদ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই ছয় দফার মাধ্যমেই বাঙালির স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।

তিনি এ সময় জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করেই বাংলাদেশকে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলায় তাঁর অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন।

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা’ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠানে আগে ধারণ করা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ছয় দফার ভিত্তিতেই সত্তরের নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হই এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করি। এই ছয় দফার ভেতরেই এক দফা নিহিত ছিল। সেটা অন্তত আমরা পরিবারের সদস্যরা জানতাম। জাতির পিতা সব সময় বলতেন, ছয় দফা মানেই এক দফা। অর্থাৎ স্বাধীনতা। আজকে আমরা সেই স্বাধীন জাতি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ছয় দফার ভিত্তিতেই সত্তরের নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচন হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়। যেটা পাকিস্তানিরা কোনো দিনই আশা করেনি।

জাতির পিতা মে মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ছয় দফা বাস্তবায়ন এবং জাতির পিতার মুক্তির দাবিতে ৭ জুন আহূত হরতালে তাঁর মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

তিনি বলেন, ‘এই হরতাল সফল করার জন্য আমার মা বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের চক্ষু বাঁচিয়ে আমাদের ছাত্রদের সঙ্গে, সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে একটা হরতাল সফল করার জন্য অনেক কাজ করেছেন। মনু মিয়া, আবুল হোসেন, সবুজ, শামসুল হকসহ ১১ জন সেই হরতালে আত্মাহুতি দেন এবং রক্তের অক্ষরে ছয় দফার নাম তাঁরা লিখে যান।’

তিনি বলেন, এরপর জাতির পিতা অসহযোগ আন্দোলন দেন। তারপর সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ—‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ যে ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ভাষণ বাঙালি জাতিকে মুক্তির চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। অসহযোগ আন্দোলন থেকে সশস্ত্র বিপ্লব এবং এর মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন আমরা করেছি।

তিনি এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি এবং জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা-বোনের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছয় দফা দাবি আদায়ে এই ৭ জুনই আত্মাহুতি দানকারীরা রক্তের অক্ষরে এই দাবির কথা লিখে গিয়েছিলেন বলেই ছয় দফার ভিত্তিতেই নির্বাচন, আমাদের যুদ্ধে বিজয় এবং আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ এবং অধ্যাপক নাজমা শাহিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নুজহাত চৌধুরী।

বাসস

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর