অনলাইন ডেস্ক: মেগাপ্যাক বিশালাকার ব্যাটারি। এতে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করা যায়। বিদ্যুৎ গ্রিডের স্থিতিশীলতা রক্ষা ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঠেকাতে এ ব্যাটারি সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এতে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করা যায় বলে বিদ্যুতের অতিরিক্ত উৎপাদন হলে ব্যাটারিটির সাহায্যে তা এক দেশ থেকে আরেক দেশে বা আরেক রাজ্যে পাঠিয়ে দেয়া সম্ভব।
ফলে অনিয়মিত উৎস থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করে প্রয়োজনের সময় বাড়তি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে এ ব্যাটারি।
রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, সাংহাইয়ে এ কারখানা স্থাপন করে টেসলা চীনের ব্যাটারি সরবরাহ ব্যবস্থার সুবিধা নিতে চায়। সেই সঙ্গে এতে তার মেগাপ্যাক লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির দামও কমবে। বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহার বাড়বে।
বিশ্বে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ায় বিদ্যুৎ সংরক্ষণে ব্যবহৃত ব্যাটারির চাহিদাও বাড়ছে। ফলে এ কারখানার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
চীনের সাংহাইয়ে একটি মেগা কারখানা চালু করতে যাচ্ছে টেসলা। নতুন এ কারখানায় বড় আকারে ব্যাটারি উৎপাদন করা হবে। সম্প্রতি নিজেদের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এমন ঘোষণা দেয় ইলোন মাস্ক নেতৃত্বাধীন কোম্পানিটি।
চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংহাইয়ের মেগাফ্যাক্টরিতে প্রতি বছর ১০ হাজার মেগাপ্যাকস নির্মাণ করা হবে।
মেগাপ্যাকস হচ্ছে বড় আকারের ব্যাটারি, যাতে বিদ্যুৎ সঞ্চয় সহজতর হবে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কারখানাটির নির্মাণ এবং ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সেখানে উৎপাদন শুরু হবে।
বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার লাথ্রমে টেসলার একটি মেগাফ্যাক্টরি রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর ১০ হাজার মেগাপ্যাক নির্মাণ হয়।