চলতি বছরের শেষ দিকে আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশনের পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে চলমান লকডাউন শেষ হলেই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের প্রস্তুতি শুরু হবে বলে আওয়ামী লীগের?
একাধিক শীর্ষনেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন। করোনা সংক্রমণের কারণে, বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্তিমিত। কিন্তু এর মধ্যেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদককে সারাদেশে সম্মেলন হওয়া জেলা এবং উপজেলার তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
এই তালিকা চূড়ান্ত হলে সেপ্টেম্বর থেকে জেলা এবং উপজেলায় সম্মেলনগুলো করা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। সংগঠনকে গতিশীল করা এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছানোর জন্যই দুবছরের মধ্যে নতুন করে সম্মেলন অনুষ্ঠান হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র গুলো জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কারণে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে আগাম কাউন্সিলের দাবী উঠেছে। বিশেষ করে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পরার প্রেক্ষিতে এই দাবী জোরালো হয়।
সম্প্রতি পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অন্ত:কলহ প্রকাশ্য হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে চরম পত্র দেয়ার পরও বিদ্রোহী প্রার্থীদের উৎসাহ কমেনি।
দেখা গেছে, অধিকাংশ বিদ্রোহী প্রার্থীই ছিলো এমপি অথবা প্রভাবশালী নেতাদের মদদ পুষ্ট। এ কারণে শেষ পর্যন্ত কাউকেই দল থেকে বহিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।
আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলেছেন, দিন দিন অনুপ্রবেশকারীদের দাপট বাড়ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনার পরও অনুপ্রবেশকারীদের দাপট কমেনি।
বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুপ্রবেশকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের দাবী উঠেছে।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অনেক নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও কথা উঠেছে। প্রেসিডিয়ামের অনেক সদস্য সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে একেবারে নিষ্ক্রিয়। এদের নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে।
তাছাড়া, আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ মনে করছে, দলে একজন পূর্ণকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়োজন। সেরকম একটি ভাবনা থেকেই আওয়ামী লীগের আগাম কাউন্সিলের গুঞ্জন।
বাংলা ইনসাইডার