গোপালগঞ্জে হঠাৎ করে মধুমতি নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। দিন দিন বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমি, পাকা রাস্তা। ভয়াবহ নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরের বাড়িঘর ও শত শত একর ফসলী জমি।
ভাঙনের তোড়ে বসতবাড়ী, পাকা সড়ক, ফসলী জমি চলে গেছে নদী গর্ভে। মধুমতি নদীর এই ভাঙ্গন এলাকায় দ্রুত স্থায়ী প্রতিরক্ষার দাবী করেছেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে বরাদ্দ পেয়েছি নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ শুরু হবে ।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া, হরিদাশপুর, জালালাবাদ, চর গোবরা, ফুকরা, পুখুরিয়া, ঘোড়াদাইড়, চর সিংগাতি, মধুপুর, মানিকদাহ এলাকাজুড়ে মধুমতী নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।
মধুমতি নদীর তীরবর্তী এ সকল গ্রামের পরিবারের ফসলি জমি, বসতবাড়ি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে বসত বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো।
কেউ বা আবার নদীর পাশ থেকে তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের মানুষের চির চেনা বসত ও আবাদি জমি ।
নদীগর্ভে বিলীন হওয়া পরিবারগুলোর চোখ দিয়ে এখন শুধু হতাশার অশ্র ঝরছে । সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন শুধুই নির্বাক হয়ে চেয়ে আছে নদীর দিকে । আবাদি ফসল ও জমি চোঁখের সামনে চলে যাচ্ছে নদীতে।
নদীর ভয়াল থাবায় বাড়িঘর জমিজমা হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব । গোপালগঞ্জের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক গ্রাম।
নদী তীরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙ্গনে ভীষণ বিপদে পড়ে আছি। এখন দ্রুত ব্লক বেড়িবাঁধ নির্মানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ এমনটাই দাবী ভুক্তভোগীদের।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কারনে নদী ভাঙনের মাত্রা বেড়ে গেছে।
ফসলী জমি ও গাছপালা নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে তবে ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ইতোমধ্যে দেড়শ কোটি টাকা বরাদ্দও পেয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ফইজুর রহমান বলেন, গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীর ৩ কিলোমিটার ভাঙন প্রতিরক্ষায় ৭২কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি।
আরো ২৫০কেটি টাকার প্রকল্প চেয়েছি। দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে তিনি জানান ।