বেশী করে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর, সাতপাড় ও বৌলতলী ইউনিয়নে এক সপ্তাহের বিশেষ লক ডাউন চলছে।
রবিবার ছিলো লকডাউনের ৪র্থ দিন। লক ডাউন কার্যকর করতে গত শুক্রবার সকাল থেকে মাঠে নেমেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাকিবুর রহমান জানান, কয়েকদিন আগে তেলিভিটা গ্রামের মটর গ্যারেজের ব্যবসায়ী বিভাষ কির্ত্তনীয়া নামে এক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ ঠান্ডা ও জ্বর নিয়ে মারা গেলে ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এ নিয়ে ওই এলাকায় গত ৪ দিনে শনাক্ত হয় ৪৬ জন। নমুনা সংগৃহিত হয় ২৩৪ জনের। বর্তমানে সংক্রমনের হার ২২%। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২০৯ জনের।
করোনা সংক্রমন রোধে তেলিভিটা গ্রামসহ সদর উপজেলার সাহাপুর, সাতপাড় ও বৌলতলী ইউনিয়নের জন্য সদর উপজেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ বিশেষ লক ডাউন ঘোষনা করে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানান, এ পর্যন্ত গোপালগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৭৯০জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধুু মে মাসেই আক্রান্ত হয়েছে ১৯৯ জন। মারা গেছে ৩৭ জন। মার্চ মাসে করোনা আক্রান্তের হার ছিল ৪.৫ শতাংশ।
এপ্রিল মাসে তা লাফিয়ে ১৪.৫ শতাংশে দাড়িয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্র্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ রাশেদুুর রহমান জানান, লকডাউন চলাকালে ইউনিয়ন ৩টির হাটবাজার ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
সীমিত রাখা হবে গণ পরিবহন চলাচল। খুব প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি গরীব মানুষদের সরকারি অনুদান দেওয়ার কথাও বলেন।