৮ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিওর শুরুতে তিনি বলেন, আজকে এমন একটা ভিডিও করতে হবে আর সেটা আমার করতে হবে বিষয়টা আমি ভাবিনি। আমার মনে হয়েছে যে না এটা আসলে সবাইকে বলাটা এখন সময় হয়েছে। কারণ আমাদের নিজেদের ভালোর জন্যই আমার মনে হয় এটা বলা উচিত, সবার জানা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমি আর রাকিব আমরা আসলে খুব ভালো আন্ডারস্টেন্ডিং থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্তে এসেছিলাম এবং আমরা খুব ভালোই ছিলাম। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে মনে হয়েছে যে, আমরা আসলে দুজন দুজনের জন্য না। সে খুব ভালো একজন মানুষ। খুবই পরোপকারী একজন মানুষ। খুবই কেয়ারিং একজন মানুষ। এই পর্যন্ত যতগুলো দিন আমি কাটিয়েছি। সে আমার অনেক যত্ন নিয়েছে, আমারও অনেক টেক কেয়ার করেছে, আমার পুরো পরিবারের মানুষকে সম্পর্ক করেছে। যে কোনো প্রয়োজনে সে পাশে দাঁড়িয়েছে। সবসময় সে আমাকে ছাতার মতো করে আগলে রেখেছিল।
বেশকিছুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সংসার ভাঙনের। অবশেষে তা বাস্তবে রূপ নিয়ে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। এবংকি ইতোমধ্যে তারা উভয়েই আলাদা থাকছেন বলেও জানান এই অভিনেত্রী। তবে স্বামী রাকিবের ব্যাপারে ভিডিওর কোথাও নেতিবাচক কথা বলেননি মাহি।
একটা ছাদের নিচে দুটো মানুষ কেনো আসলে ভালো নেই। এটা ঐ দুটো মানুষই কেবল ভালো বলতে পারে। ওরা ছাড়া তৃতীয় কোনো ব্যক্তি আসলে তাদের সমস্যা বুঝতেও পারবে না সমাধানও করতে পারবে না। আমরা দু’জন মিলেই আমাদের সম্পর্ক যেটা ছিল সে সম্পর্কের জায়গা থেকে দুজন দুজনকে সম্মান জানিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমরা আলাদা হব। আমরা আলাদা আছি অনেকদিন যাবত। হয়ত খুব দ্রুতই এটার একটা ইনডিং হবে। আমরা দুজন মিলেই এটা ঠিক করব যে, এটা কিভাবে শেষ হবে।
ভিডিওর একপর্যায়ে মাহি তার সন্তানকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য না করার অনুরোধ জানিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নেটিজেনদে উদ্দেশ্যে বলেন, ও হয়তো এখন এসব বুঝতে পারে না, কিন্তু একসময় এসব বুঝবে, তখন নিশ্চয়ই কষ্ট পাবে। দয়া করে এসব করবেন না। আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন। যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।