রাজনৈতিক প্রতিবেদক: বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তনকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ন্যাশনালিস্ট কনসারভেটিভ পার্টির (এনসিপি) এক শীর্ষস্থানীয় নেত্রী। তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক সময় পার করছে এবং দেশের প্রতিটি নাগরিক সেই সময়ের প্রত্যক্ষ সাক্ষী।”
শুক্রবার এক রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, “এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে ছাত্রসমাজ, দেশকে একটি ফ্যাসিস্ট শাসন থেকে মুক্ত করেছে। গণবিক্ষোভ, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “উত্তাল জুলাই মাসে বাংলাদেশের মানুষ ভয়হীনভাবে রাস্তায় নেমেছে। প্রতিদিন তারা সামনে এগিয়েছে, কোনোদিন পিছিয়ে যায়নি। তখনই দেশের মানুষ ঠিক করে নেয়, প্রয়োজন হলে রক্ত দেবে-তবুও ফ্যাসিস্ট শাসন মেনে নেবে না। তারা তা বাস্তবেও প্রমাণ করেছে।”
এনসিপি নেত্রীর দাবি অনুযায়ী, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা, গণহত্যাকারী হাসিনা, খুনি হাসিনাকে বিদায় করে বাংলাদেশ আজ বিজয় অর্জন করেছে।” তবে তিনি সতর্ক করেন, “এই বিজয় ধরে রাখা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, এখন বিভিন্ন কূটনৈতিক সমীকরণ, বিদেশি প্রেসক্রিপশন এবং অভ্যন্তরীণ প্রভাবের মাধ্যমে আবারও আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে।”
নেত্রীর বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে একটি রাজনৈতিক উদ্বেগ-বাংলাদেশের বর্তমান শক্তিশালী গণদাবির মুখে যে পরিবর্তন এসেছে, তা যেন স্থায়ী হয় এবং পুরনো রাজনৈতিক বলয় আবার ক্ষমতায় ফিরে না আসে। তিনি বলেন, “আমরা সবাই বিজয় অর্জন করেছি। কিন্তু এটিই শেষ নয়। এখন প্রয়োজন এই বিজয়ের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা, জনগণের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পথে দেশের অগ্রযাত্রা ধরে রাখা।”