বিডিনিউজ ডেস্ক: বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) খালের সীমানা নির্ধারণ করে স্থায়ী পিলার বসানোর কাজ শুরু করবে ডিএনসিসি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ডিএনসিসি এলাকার খালের সীমানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
ড্রোনের সাহাজ্যে সিএস জরিপ ও আরএস জরিপ ধরে খালের সীমানায় উঠানো হবে স্থায়ী পিলার।
মাস্টার-প্লানে আছে অবশ্যই খালের সীমানা নির্ধারণ করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এতদিন খালের ঠিকানা ছিল না। যে যেভাবে পারছে দখল করেছে।
সেই সুযোগ বন্ধ হবে। আমাদের পরিকল্পনা আছে খালের সীমানা নির্ধারণ করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং সাইকেল লেন করা। থাকবে সুবজের সমাহার।
আমরা এবারই প্রথম সীমানা পিলার দিয়ে দিচ্ছি। এখন আর এখানে কেউ ঘর বাড়ি করতে পারবে না। আমরা জানি সীমানা পিলার লাগাতে গেলে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে।
কেউ বলবে আমার সীমানার মধ্যে পড়েছে। অনেকে প্রভাব খাটাতে চাইবে। সেজন্য আর্মিকে দিয়েছি। তারা ড্রোনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করে দেবে।
প্রথমবারের মতো খালের সীমানায় পিলার বসানো হবে। সীমানার ভেতরে যাদের বাড়ি আছে তাদের চলে যেতেই হবে। স্বেচ্ছায় যাক আর সিটি করপোরেশনের বুলডোজারে যাক; চলে কিন্তু যেতেই হবে।
স্বেচ্ছায় গেলে ভালো, না হলে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলতে হবে। আমি তো আমার বাড়ি করব না, বা অন্য কারও বাড়ি করব না। এটা সরকারের খাল। এটা ছেড়ে যেতেই হবে।
এটা অনেক টাকার দরকার। আমরা শতভাগ নিজের টাকায় করছি। এতে রাজস্বের উপরে অনেক চাপ আসছে। জনগণের করের টাকা দিয়েই এই কাজ করতে হচ্ছে।
খালকে দখলমুক্ত করা, খালের প্রবাহ ফিরিয়ে আনা পুনঃখনন করা, সাইকেল লেন করা অনেক কাজ আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউএমকে বলেছি সীমানা নির্ধারণ করে এই ওইকল খালের গভীরতা কত হবে সেটি নির্ধারণ করে দিতে হবে। ডিএনসিসি এলাকার পুরো প্রজেক্ট বিআইডব্লিউএম করে দেবে।