আবার আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন। করোনা টেস্টের রিপোর্টে তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৮ মে দেখানোর পর থেকে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এর আগে খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টকে নিজের জন্মদিন হিসেবে উদযাপন করে আসছিলেন।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহল থেকে চরম সমালোচনায় পড়তে হয় বিএনপি ও এর নেতৃত্বকে। ১৫ আগষ্ট ছাড়াও বিভিন্ন দলিলে খালেদা জিয়ার আরও চারটি জন্মদিনের কথাও জানা যায়।
একাধিক জন্মতারিখ ও জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন উদযাপনের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিপর্টটি শেয়ার করে জাতীয় শোক দিবসে নিজের জন্মদিন উদযাপন করায় খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপিকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান অনেকেই।
ফেসবুকে “হুসেন আহমেদ” নামে একজন লিখেছে, খালেদা জিয়ার এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ছয়টি জন্ম তারিখ থাকার কথা জানা গেল। এবার জাতিই বিচার করবে তার জন্ম তারিখ কোনটি? একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্মের তারিখের ঠিক নেই কেন?
“তানিন সুভহা” নামের অপর একজন লিখেছেন, ভাবতে অবাক লাগে নিজের জন্মদিন নিয়ে নাটক সাজানো একজন কিভাবে এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন?
রিপোর্টটি ফেসবুকে শেয়ার করে “মেঘ আরেফিন” লিখেছেন, নিজের জন্মের ঠিক নাই বুঝলাম, তাই বলে মিথ্যা জন্মদিন পালন করে একটা জাতির প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকীতে কিভাবে নিজের জন্মদিন পালন করে?
তার ও তার দলের উচিত সমাবেশ করে দেশের ও জনগনের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার পাওয়া জন্ম তারিখ গুলোঃ
– এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।
– ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগষ্ট লেখা হয়।
– জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট।
– ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী, তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।
– সর্বশেষ করোনা টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী ৮ মে ১৯৪৬ খালেদা জিয়ার জন্মদিন।
সূত্র: ঢাকা টেলিভিশন