অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যেই বেগম জিয়ার সম্পদের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে জিয়া পরিবারে গৃহদাহ শুরু হয়েছে।
বেগম জিয়ার কিছু হলে তার বিপুল সম্পদের মালিকানা প্রশ্নে জিয়া পরিবার বিভক্ত। বেগম জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়া লন্ডনে পলাতক। তারেক বিপুল সম্পদের মালিক। কিন্তু মায়ের বিপুল সম্পদের পুরোটাই চান তিনি।
এরকম অভিপ্রায়ের কথা তারেক তার মামা শামীম ইস্কান্দারকে বলেছেন। বেগম জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সিঁথি হলেন বেগম জিয়ার সম্পদের মূল ভাগীদার।
গুঞ্জন আছে, বেগম জিয়ার তার প্রায় সম্পদই সিঁথির দুই কন্যার নামে লিখে দিয়েছেন। এজন্যই তারেক জিয়া ক্ষুব্ধ এমন গুঞ্জনও বিএনপিতে শোনা যায়। অন্যদিকে, এখন বেগম জিয়ার ভাই বোনও ঐ সম্পদের হিস্যা চায়।
জানা গেছে, বেগম জিয়া কারাগার থেকে জামিন পাওয়ার পরপরই সম্পদ ভাগবাটোয়ারা নিয়ে পরিবারে গৃহদাহ শুরু হয়।
বেগম জিয়ার মধ্যপ্রাচ্যের ৪টি দেশে বেগম জিয়ার শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। এই সব সম্পদের প্রায় সবই, বেগম জিয়ার সাবেক একান্ত সচিব মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামে। ফালু বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
একাধিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হবার পরপরই ফালু সৌদি আরবে পালিয়ে যান এবং সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। ফালুর যত কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার সব গুলোতেই কোকো পার্টনার ছিলেন।
জানা যায় যে, তারেক পৃথক ভাবে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরপরই বেগম জিয়া তার ছোট ছেলেকে ফালুর সঙ্গে যুক্ত করেন। তাই সংগত কারণেই, বেগম জিয়ার বেনামে রাখা সম্পত্তিগুলোর মালিকানা কোকোর স্ত্রীর কাছে চলে যাওয়ার কথা।
কিন্তু এটা তারেক জিয়া মেনে নিতে রাজী না। এজন্যই, তারেক চায় এখনই বেগম জিয়া তার মায়ের নামের বেনামী সম্পত্তি গুলো এখনই বণ্টন করা হোক। কিন্তু বেগম জিয়া এতে তখন সায় দেননি। এনিয়েই মা ছেলের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছিল।
শেষ পর্যন্ত বেগম জিয়া যদি তার সম্পদ কাউকে লিখে না দেন, তাহলে বেগম জিয়ার অবর্তমানে তার মালিকানা সিঁথির কাছেই চলে যাবে। আর ফালুর সাথে তারেক জিয়ার সম্পর্ক খুবই খারাপ।
একারণেই বেগম জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে আগ্রহী ছিলেন না। বরং তিনি সিঙ্গাপুর কিংবা দুবাইয়ে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী।
বাংলা ইনসাইডার