বিডিনিউজ ডেস্ক: বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় অফিসে সাইদুর রহমান রিমনের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহীনি হামলা চালিয়ে জাতির পিতার ছবি নীচে ফেলে দিয়ে অবমাননা, অফিস ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এরুপ সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে সারাদেশের সাংবাদিকদের নিয়ে জাতীয় পরিষদ গঠন করা হয়েছে। বিকাল ৪টায় অফিসে সভা চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকালে নারী সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালায় যা সিসি ফুটেজে তথ্য সংগ্রহ আছে। এ ঘটনায় সারাদেশে সংগঠনের সদস্যদের মাঝে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফর কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে সারাদেশের শাখা সমুহের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আবু জাফরকে জাতীয় কমিটির প্রধান করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভায় সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের কাজ সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
২৫ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সংগঠনের পুরানাপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গঠনতন্ত্রের ১২.৩ এবং ১২.৫ ধারা অনুসারে জাতীয় পরিষদ গঠন করা হয়।
বিএমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আবু জাফর তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সংগঠনের বৃহৎ স্বার্থে কেন্দ্রের সকল উপ-কমিটি বিলুপ্ত করে এ কমিটি ঘোষণা করা হলো।
তিনি আশা করেন, মফস্বল সাংবাদিকদের প্রাণের সংগঠন বিএমএমএফ’র মাঝে জাতীয় পরিষদের নেতৃত্বে একটি প্রাণবন্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনের গতিশীলতা এবং স্বচ্ছতা ফিরে পাবে।
আগামি ৩ মাসের মধ্যে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়।
জাতীয় পরিষদে যারা স্থান পেলেন তারা হলেন সম্মানিত সদস্য সৈয়দ সোহেল আহমেদ (কিশোরগঞ্জ), আফজাল হোসেন (ভোলা), হারুন অর রশীদ (পটুয়াখালী), মো: আজহারুল হক (নবাবগঞ্জ), কাজী মিরাজ মাহমুদ (বরিশাল),ড.একেএম রিপন আনসারী (গাজীপুর), শাহ আলম শাহী (দিনাজপুর), মাহফুজ কাদেরী(পাবনা), জিয়াউদ্দিন তৌহিদ (ঢাকা), ফজলুল হক ভুইয়াঁ,শিবলী সাদিক খান, সাইদুর রহমান বাবুল, ওয়াহিদুজ্জামান আরজু (ময়মনসিংহ), আলম পলাশ(চাঁদপুর), মিজানুর রহমান মাসুদ (ঢাকা) , এমডি রিয়াজ হোসাইন (ইতালী), আবুল হাসান বেলাল(ঢাকা), ইসমাইল হোসেন টিটু, মিজান মোল্লা, এসএম জহিরুল ইসলাম, রেজাউল করিম, মাহমুদুল কবির হিরু, আনিস লিমন,আমেনা ইসলাম, রানী আক্তার , ওয়াহেদুজ্জামান মোল্লা, মঞ্জুর মোরশেদ, মাহবুব হোসেন, জিএস পিন্টু, মোহাম্মদ আলী,আবদুল্লাহ আল মামুন, এম সোলায়মান (ঢাকা),ইকবাল হোসেন (দ্বেবিদ্বার) মোশারফ হোসেন নীলু (নরসিংদী), আব্দুল হামিদ খান (গাজীপুর) মোস্তাক খান (টঙ্গী), আমিনুল ইসলাম আহাদ, কবি আফজাল খান শিমুল (ব্রাক্ষনবাড়িয়া), আলহাজ্জ্ব মাসুম বিল্লাহ(ঢাকা), জাহাঙ্গীর হোসেন ( নারায়নগঞ্জ), আরমান খান জয় (গোপালগঞ্জ) রতন সরকার(রংপুর), বেলায়েত বাচ্চু (লক্ষ্মীপুর), আবুল খায়ের খান (মাদারীপুর) এসএম মাহমুবুর রহমান মুরাদ(গোপালগঞ্জ), মোফাজ্জেল হোসেন ও খোরশেদ আলম (নওগাঁ),রেজা নওফল (ঢাকা), রুবিনা ইয়াসমিন( ঢাকা), তাওহীদ হাসান (ঢাকা), হাসানুর রহমান সুমন(ঢাকা), হাসিবুর রহমান রিজু ও সীমা খন্দকার (কুষ্টিয়া), মোনালিসা মৌ (ঢাকা),
কবির নেওয়াজ(ঢাকা), গাউছ উর রহমান, আবৃল খায়ের খান(মাদারীপুর), কাজী নোমান, তুহিন লন্ডনী, সিদ্দিক রাজু, নুসরাত চৌধুরী(ফেনী), আবু জাফর সোহেল রানা ও আলমগীর হোসেন(কুড়িগ্রাম), বেলাল তালুকদার, সুমন চৌধুরী (মৌলভীবাজার) ইমন দাস (ঢাকা), সাম্বু শাকিল, মো: রায়হান (ঝিনাইদহ), মোস্তফা কাদের ও মাহবুবুর রহমান মান্নু, সোনিয়া সরকার (বরগুনা), ডা. আব্দুস সালাম (পাবনা), নুর আলম (নীলফামারী), আসাদুজ্জামান সাজু (লালমনিরহাট), খোকন আহম্মেদ হীরা (বরিশাল), মো: মাসুদ রানা , আরিফ হোসেন,আসমা আক্তার (বরিশাল), আহসান হাবিব সোহাগ(রাজাপুর) (চরফ্যাশন), মাসুম তালুকদার (ঢাকা), এসএম জীবন (ঢাকা), মানিক ভুইয়া, আকবর হোসেন সোহাগ ও এআর আজাদ সোহেল(নোয়াখালী), তানভীর আহমেদ (পিরোজপুর), গাজী আবুল কালাম আজাদ (ইন্দুরকানী), মো: পান্না ও বাদল বেপারী (ভান্ডারিয়া) মো: কামরুজ্জামান (বাগেরহাট), মো: হেলাল উদ্দিন (মেহেরপুর), কেএম রবেল,আব্দুল হাকিম রানা, কাইছার ইকবাল চৌধুরী ( চট্টগ্রাম),আবু কাউছার মাখন (রাজশাহী), মিজান উর রশিদ মিজান (ঢাকা), ফজলুল কাদের চৌধুরী, মো: শহীদুল্লাহ, ফরিদ মোস্তফা (কক্সবাজার), মিজান মহসিন (সৈয়দপুর), ফয়সাল আজম অপু(চাপাইনবাবগঞ্জ), সোহেল রানা ও আলী হোসেন (আশুলিয়া), আবুল কালাম আজাদ (পাংশা), কবির হোসেন(রাজবাড়ী), কাজী আয়েশা ফারজানা (চট্টগ্রাম দক্ষিন), আজমীর হোসেন তালুকদার, রুহুল আমিন রুবেল (ঝালকাঠি), গাউছ উর রহমান, আবুল খায়ের খান (মাদারীপুর), ডা. মাহতাব হোসাইন (ফেনী), হাবিবুর রহমান (সিঙ্গাইর), বিএম খোরশেদ (মানিকগঞ্জ),আহমেদ জালাল, সোহানুর রহমান , মাসুদ রানা ও আরিফ হোসেন (বরিশাল), জিয়াউল হক, মো: রিয়াজ হোসেন (বাকেরগঞ্জ), মিজানুর রহমান (কুয়াকাটা), এসকে রঞ্জন (কলাপাড়া), আরিফুল মাসুম (বিবাড়িয়া), জসিম উদ্দিন চাষী ও এইচএম মহিউদ্দিন (কুমিল্লা), মোহাম্মদ আলী সুমন (ঢাকা), নাজিম উদ্দিন, আব্দুল বাতেন বাচ্চু ও ডা: আজিজুল হক (শ্রীপুর), রফিকুল ইসলাম মিরপুরী,( ঢাকা), আনিস লিমন (ঢাকা) ও কবির হোসেন (রাজবাড়ী), রাকিবুল হাসান আহাদ (শ্রীপুর) মো: মোজাহিদ (শ্রীপুর) মিজানুর রহমান আকন্দ (ফুলপুর)
সাংবাদিকদের মর্যাদা, দাবি ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় পরিষদ নেতৃবৃন্দ কাজ করবেন। এছাড়াও উক্ত কমিটি কাউন্সিল সম্পন্ন করতে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন, চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবেন।
বিএমএসএফ এর সাধারণ সভায় কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যাপক পযর্যালোচনা করা হয়। নিম্মোক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কাজে অবজ্ঞা প্রদর্শন, সরকারের প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার কাজে লিপ্ত থাকা, বিএমএসএফ সংগঠন ব্যবহার করে অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য বিনা ভাড়ায় মতিঝিলে বিতর্কিত অফিস নেওয়ার হীন মানষিকতার জন্য সর্বোচ্চ পরিচালনা পর্ষদ গঠনের নামে সিন্ডিকেট করে সংগঠনের সাংবাদিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজে বাঁধাদান, দুষ্ট লোকের অভয়াশ্রম গড়ে তোলার অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শহিদুল ইসলাম পাইলটকে নৈতিক স্খঙ্খলজনিত কারণে, সাইদুর রহমান রিমন মাদক সেবন, ব্যবসায় জড়িত ও সহযোগিতা করা, নষ্টামি নারীদের ব্যবহার করে নষ্টামি করা, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে সাংবাদিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে চরিত্রহরণ এবং চাকরীচ্যুতি করা, সংগঠনের গঠনমূলক কাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করা, নষ্ট চরিত্রের নারীদের দিয়ে মানহানিকর কর্মকান্ডে জড়িত থাকা,
শারমিন সুলতানা মিতু সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ থাকায় সারা দেশের সদস্যদের জমাকৃত ফি, অর্থ আত্মসাত, মাদক সেবন ও ব্যবসায় জড়িয়ে পরার একাধিক অভিযোগ, প্রতারণা করে বিভিন্ন লোকজনের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, নিয়োগ বাণিজ্য ও শ্রীপুর গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগের দালালি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ, বিভিন্ন নারী দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ তৈরী করে অর্থ আদায় করতে মানুষকে হয়রানি করা, এসকল কাজে এম এ আকরাম, এনামুল কবির সোহেল, রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, সোহাগ আরেফিন, জুয়েল খন্দকার প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভাবে জড়িত থেকে সহযোগিতা করায় সংগঠনের সাংবাদিকদের স্বার্থে তাদেরকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। সভায় সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
সভায় একটি উপদেষ্টা কমিটি ও স্থায়ী পরিষদ নামে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।