অনলাইন ডেস্ক: বন্যা কবলিত এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫০টি গ্রামের প্রায় সোয়া দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ৬০টি বাড়ি। বন্যায় জেলায় প্রায় ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ফসলাদি জমি নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর। নদী ভাঙন ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বানভাসী মানুষ রয়েছেন চরম দুর্ভোগের মধ্যে। বন্যাদুর্গতদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের।
সোমবার (২০ জুন) সকাল ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
সেই সঙ্গে বানভাসী এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, পবাদি পশুর খাদ্য ও জ্বালানির তীব্র সংকট। তবে তিস্তা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে এখনও ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে।
এ পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ৮৫টি মেডিকেল টিম, ৯ উপজেলায় একটি করে মনিটরিং টিম এবং সিভিল সার্জন অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ১৮টি ভেটেনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।