22 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

কাপ্তাই হ্রদে আজ থেকে তিন মাসের জন্য মাছ আহরণ-বিপনন নিষিদ্ধ

চাকুরির খবর

রাঙামাটি প্রতিনিধি: দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম হ্রদ রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে আজ থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য সকল প্রকার মৎস্য সম্পদ আহরণ ও বিপননে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।

কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও পহেলা মে থেকে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত জারিকৃত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, বন্ধকালীন সময়ে বেকার হয়ে যাওয়া প্রায় ২০ হাজার জেলে পরিবারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাউল বিতরন করা হবে।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন বিএফডিসি’র উপ-ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, কাপ্তাই হ্রদ দেশের কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের একটি অন্যতম স্থান।

হ্রদে মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে প্রতিবছরের এবছরও হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা মাছের পোনার সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএফডিসি রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এবছর ৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছিল। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে হ্রদের পানি দ্রুত শুকিয়ে যায়।

যার ফলে ছোট মাছ আহরণ কম হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর এক হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কম মাছ আহরণ হয়েছে। এবছর বন্ধকালীন সময়ে ৫০ মেট্রিক টনের মতো কার্প জাতীয় পোনা ছাড়া হবে।

এদিকে, কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য ব্যবসায়িরা বলছেন, এশিয়ার একমাত্র বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদ। এই হ্রদের সাথে জড়িত রয়েছে কয়েক লাখো পরিবার। এই হ্রদ থেকে মাছ আহরণ করে জীবন জীবিকা করে পরিবার গুলো। মিঠা পানির মাছ হিসাবে কাপ্তাই হ্রদের মাছের একটি দারুন চাহিদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

এই কাপ্তাই হ্রদকে বাঁচাতে এবং হ্রদে মাছের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘদিন ধরে দাবী উঠে আসছে। সেই সাথে কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করতে এবং কাপ্তাই হ্রদের কার্প জাতীয় মাছের আধিক্য বাড়াতে ৩ মাসের জন্য হ্রদ বন্ধ করে দেয়া হয়।

কিন্তু বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ কাপ্তই হ্রদে মাছের অবস্থান না জেনে কাপ্তাই হ্রদ খুলে এবং বন্ধ করে। শুধুমাত্র সরকারের রাজস্ব বাড়াতে নয়, হ্রদের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও অবৈধ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ এবং সঠিক সময়ে কাপ্তাই হ্রদ বন্ধ ও হ্রদের পানির উচ্চতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদ খোলার দাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মাছের অবস্থান জেনে মাছ খোলা ও বন্ধ করলে হ্রদের মাছের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে বলেও মন্তব্য করেছেন মৎস্য ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর