28 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

“করোনাকালীন অবসর; ডিআইইউ শিক্ষার্থীদের ঈদ ভাবনা”

তানজিলা আক্তার লিজা (ডিআইইউ প্রতিনিধি)

চাকুরির খবর

করোনাভাইরাস যেন ঈদের আনন্দের আবহকেই থমকে দিয়েছে। ঈদ এবার অনেক মানুষের জন্য আগের মতো খুশির বার্তা বয়ে আনতে পারেনি। ঈদ উদযাপনের চাইতে বেঁচে থাকার লড়াইটাই যেন এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চারপাশে মৃত্যুর হাহাকার৷ এর মধ্যে উৎসব পালনের মানসিকতাই নেই৷

করোনা কালীন এই অবসর সময়ে ঈদ নিয়ে ভাবনা এ বিষয়ে  ডিআইইউ শিক্ষার্থীদের-সাথে কথা বলেছেন “বিডি নিউজ গ্লোবালের” প্রতিনিধি “তানজিলা আক্তার লিজা “

জাফর আহমেদ শিমুলঃ ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই খুশী,আমাদের মুসলিম সমাজে বছরে দুটি ঈদ আসে শান্তির বার্তা নিয়ে।
কিন্তু বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে জনজীবন।

যার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সকল শিক্ষার্থীদের ঈদ আনন্দে ও পড়েছে সে কুপ্রভাব। প্রতিবছরের ঈদের ন্যায় গ্রামের বাড়িতে যাবার জন্য বাস স্টেশনে ও রেল স্টেশনে ঘন্টার পরে ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকেট সংগ্রহ করা হয়নি কারণ করোনার অতিরিক্ত তান্ডবে শহর থেকে বের হবার সুযোগ হয়নি।

বলতে গেলে একদম গৃহবন্দী হয়েই কাটাচ্ছি করোনাকালীন দীর্ঘ এ অবসর সময়। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা ও মূলস্রোতের গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে প্রচুর লিখালিখি করে দিন পার করছি।

পাশাপাশি গবেষণাধর্মী বই পড়ে নিজের জ্ঞানচর্চাটাকেও আরও শাণিত করার চেষ্টা করছি। ধর্মকর্মে মনোনিবেশ করছি।

করোনাকালীন এই অফুরান্ত সময়টাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য ক্যাম্পাস সাংবাদিক ভাই-বোনদের নিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগ হাতে নিচ্ছি।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির পাশাপাশি ‘ছবিঘর’ সহ দুটি আন্তর্জাতিক মানের স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন ‘গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি(জিএলটিএস)’ ও ইন্টারন্যাশনাল ইয়্যুথ সামিট(আইওয়াইএস)’র সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানবিক সেবা ও ইতিবাচক প্রচারণা ও গণমাধ্যম সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

পরিশেষে সমগ্র পৃথিবী সহ আমাদের দেশের এ মহামারী দূরীভূত হয়ে পরিপূর্ণ স্নিগ্ধতা ও সুস্থতা কামনা করছি।

জাফর আহমেদ শিমুল, এম.এ (ইংরেজি বিভাগ) শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিকর্মী-গণমাধ্যমকর্মী, সভাপতি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি।

মিহাদুল ইসলাম মিজানঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পাল্টে দিয়েছে আমাদের চিরচেনা ঈদের প্রকৃতি, গতি এবং আমেজ। এবার এমন কোন অনুভূতি আমাকে স্পর্শ করছে না।

এটাই বাস্তব সত্য। কারণ করোনা নামক এক ধরনের ভয়ংকর মহামারির সংকটের কবলে আমরা পতিত পুরো বিশ্ববাসী। একেবারে অপ্রত্যাশিত এবং আকস্মিক ভাবে এই করোনা এসে আমাদের জীবনকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে।

এই ক্রান্তিকাল কিছুটা কষ্ট মনকে নাড়া দিলেও, আমি মনে করি এই কষ্টের থেকে আরো অনেক বড় কষ্ট অনেক ঘরে ঘরে মানুষকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

নিজেদের অসুস্থতার কষ্ট, ঠিকমতো চিকিৎসা না পাওয়ার কষ্ট, অভাবের কষ্ট, সর্বপরি নিজের কাছের মানুষকে হারানোর কষ্ট।

তাদের কথা চিন্তা করে নিজেদের ঈদ আমরা অন্যভাবে উদযাপন করতে পারি, ঈদ আয়োজনে আমরা যে বাড়তি খরচ করে থাকি কম বেশী সবাই, সেই অর্থ কর্মহীন অভাবগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করে আমাদের ঈদকে আরো মহিমান্বিত করতে পারি। এটাও হবে আমাদের এক ধরণের ঈদ উদযাপন এবং সেটাই করা উচিত।

সেইসাথে আসুন নিজের অবস্থান থেকে পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন এবং অন্যকেও নিরাপদ রাখার জন্য সহায়তা করুন। আগামী অনেকগুলো ঈদ সবাইকে নিয়ে অনেক আনন্দে কাটানোর জন্য এবারের ঈদটা না হয় অন্যরকম হলো। ঘরে থাকুক আর সীমিত পরিসরে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন। রঙিন, নিরাপদ ঝলমলে ঈদের প্রত্যাশায়।

মিহাদুল ইসলাম মিজান, ফার্মেসী বিভাগ, শিক্ষার্থী, পাব্লিসিটি সেক্রেটারি( ডিআইইউ ফার্মেসী ক্লাব) ক্রিয়া সম্পাদক( ডিআইইউসাস) ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

মোঃ ইকবাল হোসেনঃ “ঈদ মানে খুশি ঈদ মানেই আনন্দ ” কথাটি হয়তো এই করোনা কালীন সময় আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।

তবে আমাদের মনোবল নষ্ট করা যাবে না। সকল কষ্টের মধ্যে আমাদের আনন্দকে খুঁজে নিতে হবে। করোনা কালীন সময় আমরা ঈদের আনন্দ পরিবারের সকলে মিলে ঘরে বসে সুন্দর ভাবে উদযাপন করতে পারি।

যখন করোনা ছিল না, তখন হয়তো আমরা বাহিরে ঘুরতে বের হতাম, তবে তখন আমরা যে যার মতো ঘুরতে বের হতাম।

পরিবারের সকলে আর একসাথে ঈদে তেমন সময় কাটানো হতো না, তবে এই করোনা কালীন সময়ে পরিবারের সকলে মিলে একসাথে ঈদের আনন্দ ঘরে বসে উদযাপন করতে পারি।

এর ফলে পরিবারের সকলে একসাথে অনেক আনন্দে সময় কাটাতে পারবো। পাশাপাশি আমরা আমাদের চারপাশের অসহায় মানুষদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবো।

তাদেরকে সাহায্য করবো, যাতে তাদের অভাব -অনাটন দূর হয়।এছাড়াও আমাদের আত্নীয়-স্বজনদের খোজ খবর রাখবো।

মোঃ ইকবাল হোসেন, আইন বিভাগ, শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

নাঈম মাহমুদঃ ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ বা উদযাপন। ঈদ মানে আত্মার পরিশুদ্ধি, ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সৌহার্দ্য ও সংহতি প্রকাশ।প্রতিবছর ঈদ আসে আনন্দ নিয়ে কিন্ত এবার তার থেকে একটু আলাদা ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছি আমরা।

করোনা মহামারীতে আমাদের দেশের মানুষের জীবনকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। লকডাউনে সকলে গৃহবন্দি হয়ে আছি।ঘরে ঘরে মানুষের কষ্টের, স্বজন হারানোর কান্নার সুর বাতাসে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে।

আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না এই কষ্টকে কোন ভাবেই। তাই এবার ঈদ না হয় গরিবদের সাথে আনন্দটা ভাগাভাগি করার চেষ্টা করবো।

করোনার মহামারীতে বাহিরে কোথাও ঘুরাঘুরি না করে পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ পালন করবো এবং ঈদের দিন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবো এই মহামারী থেকে যেনো আমাদের সকলকে রক্ষা করেন।

পরিশেষে বলতে চাই ঈদ আনন্দটা সীমিত পরিসরে পালন করে ঘরে থাকি, সুস্থ থাকি।সকলকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা।

নাঈম মাহমুদ, ফার্মেসী বিভাগ, শিক্ষার্থী নির্বাহী সদস্য, ডিআইইউ ফার্মেসী ক্লাব, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর