লক্ষ্মীপুর জেলাসহ সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন কিন্তু সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে রাস্তায় অবস্থান ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৩৬ টি পৃথক পৃথক অভিযানে গত ৪৮ ঘন্টায় ২১৩টি মামলা দায়ের করে।
এসময় ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫০ টাকা (অর্থদণ্ড) জরিমানা আদায় করা হয়। মানুষকে ঘর থেকে প্রয়োজন ছাড়া বের না হতে সরকারী ভাবে মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থান সমূহে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার মোতায়ন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো: আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভৃঁইয়া শুক্রবার সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজার ও রায়পুর শহর পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি চলমান কঠোর লকডাউন মানতে সকলের প্রতি আহবান জানান। পাশাপাশি আইন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সাজিয়া পারভীন শুক্রবার সন্ধায় সাংবাদিকদের জানান, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে রাস্তায় ঘোরাফেরা, দোকান খোলা ও সড়কে যানবাহন পরিচালনা করায় এবং সরকারের নির্দেশনা অমান্য করায় ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট লক্ষ্মীপুর শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে গত ৪৮ ঘন্টায় ২১৩ টি মামলা দায়ের করে।
এসময় ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তিনি বলেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলমান কঠোর লকডাউনে আইন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মাঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, লকডাউনের শুরু থেকে মানুষকে ঘরে রাখতে এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।
জনগণকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ, মাইকিংসহ নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ, করোনার উচ্চ সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ২য় দিনে যানজটের শহর লক্ষ্মীপুরে এখন জনশুন্য হয়ে অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে।
জরুরি পরিসেবায় নিয়োজিত কিছু যানবাহন ও দোকান ছাড়া সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত, বিপনী বিতান, গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে কাজ করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।