25 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

এরশাদের গুপ্তধনের সন্ধানে জাতীয় পার্টি

বিডিনিউজ ডেস্ক

চাকুরির খবর

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মারা গেছেন এক বছরের বেশি সময় ধরে। কিন্তু এখনও জাতীয় পার্টির মূল আলোচ্য বিষয় এরশাদ। এরশাদের বিপুল পরিমাণ বৈধ-অবৈধ সম্পত্তি বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে আছে।

আর এই সমস্ত সম্পত্তিগুলো নিয়েই এখন জাতীয় পার্টিতে টালমাটাল অবস্থা চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এরশাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশা এরশাদের বিপুল অর্থ পাচার করেছেন।

অন্যদিকে রওশন এরশাদও এরশাদের যে বিপুল সম্পত্তি সেটি ট্রাষ্টের বদলে নিজের কাছে রাখার জন্য এখন বিদিশার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন।

আর অন্যদিকে এরশাদের যে বৈধ সম্পত্তিগুলোর জন্য গঠিত ট্রাষ্ট সেই ট্রাষ্টের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছে জাতীয় পার্টির নেতারা যে, ট্রাষ্ট এই অর্থগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করছে না। আবার অন্যদিকে জাতীয় পার্টির নেতারা এখন এরশাদের গুপ্তধনের সন্ধানে যে যার মতো করে মাঠে নেমেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন মহল এখন এরশাদের অর্থের অন্বেষণে দৌড়ঝাঁপ করছেন এবং এরশাদ কোথায় কিভাবে অর্থ রেখেছেন তার খোঁজখবর নিচ্ছেন। এই অর্থ উদ্ধারই তাদের যেন প্রধান কর্মকাণ্ড হিসেবে পরিণত হয়েছেন।

এরশাদের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন যাঁদের কাছে এরশাদ তার গুপ্তধন রক্ষিত রাখতেন। এদের কেউ কেউ এখন এরশাদের অর্থের কথা অস্বীকার করছেন।

আবার এরশাদের বিপুল অর্থ বিদেশে ছিল, সেইসব অর্থ বিদিশা আত্মসাৎ করেছেন, এমন অভিযোগেও জাতীয় পার্টিতে তোলপাড় চলছে।

সাম্প্রতিক সময়ে অভিযোগ উঠেছে, এরশাদের সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরিয়ে নিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ।

এরশাদের ১০৫ মিলিয়ন ডলার থেকে ৪.৬ মিলিয়ন ডলার এবং ৪ লাখ ৮৮ হাজার পাউন্ড বিদেশের একাউন্টে পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪৩ কোটি টাকা। মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই ও সৌদি আরব থেকে লন্ডনের নিজের তিনটি ব্যাংক একাউন্টে অর্থ বিদিশা সরিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এখন জাতীয় পার্টির মধ্যে এ ধরনের অভিযোগ ওঠার পর প্রশ্ন উঠেছে যে, সুইস ব্যাংকে এরশাদের যে বিপুল টাকা আছে তার মালিক কে হবে?

এরশাদ তার সম্পত্তির একটি অংশ যে ট্রাষ্টের কাছে দিয়েছেন সেই ট্রাষ্টের হিসেবে সুইস ব্যাংকের এই টাকা নেই। বলা হচ্ছে যে, এটি এরশাদের গোপন অর্থ।

এরশাদের অর্থ যে শুধু সুইস ব্যাংকে আছে তা না, সৌদি আরব-দুবাই সহ বিভিন্ন স্থানে এরশাদের অর্থ রয়েছে এবং এই অর্থগুলো উত্তরাধিকারসূত্রে মালিক হলো বিদিশার পুত্র। আর এরশাদের বিপুল সম্পদের তথ্য পুরোপুরি কেউ জানে না।

তবে বিপুল সম্পদের সবচেয়ে বেশি তথ্য জানেন বিদিশা। এছাড়াও জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতাও এরশাদের গুপ্তধনের তথ্য জানেন। তারাও এখন অর্থ উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে বিদিশা এরশাদ এখন এই গুপ্তধন হাতিয়ে নেওয়ার জন্য রওশন এরশাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এই সব কিছু নিয়েই এখন প্রয়াত এরশাদ আবার নতুন করে জেগে উঠেছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, এরশাদের অর্থ ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে এবং এরশাদের এই গুপ্তধনের সন্ধান নিয়েই এখন জাতীয় পার্টি আরেকটি ভাঙ্গনের মুখোমুখি হতে পারে।

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর