28 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

এক বছরের মধ্যেই ঢাকার বাসে ই-টিকিট ব্যবস্থা অকার্যকর!

চাকুরির খবর

অনলাইন ডেস্ক: অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর বাসে ই টিকিট দেয়ার নিয়ম চালু করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এজন্য কন্ডাক্টরদের হাতে দেয়া হয় টিকিট দেয়ার ছোট ছোট মেশিন। 

এই ব্যবস্থা চালু করার প্রায় ১ বছর হচ্ছে। কতটা কার্যকর আছে ই-টিকিট…তা দেখতে মিরপুরে পরিস্থান পরিবহনের একটি বাসে উঠে দেখা যায় যাত্রীদের কাছ থেকে কন্ডাক্টর ভাড়া আদায় করছে, কিন্তু কাউকে টিকিট দেয়া হয়নি বলে জানান যাত্রীরা। আবার অনেক যাত্রী জানায় মাঝে মাঝে টিকিট দেয়া হলেও, প্রায় তাদের টিকিট দেয়া হয় না।

মিরপুর ভিত্তিক ৮টি বাস কোম্পানী দিয়ে পরীক্ষামুলক যে ই টিকিটিং চালু করা হয়েছিলো তার একটি এই পরিস্থান পরিবহন কোম্পানি। বাসটির কন্ডাক্টরের পকেটে মেশিন থাকা সত্ত্বেও কেনো টিকিট দেয়া হচ্ছেনা জানতে চাইলে, কন্ডাক্টর জানায় গাড়ি কন্টাকে চলে। সেই সাথে টিকিট না দিয়েও টিকিট দেয়া হচ্ছে বলে তারা দাবি করে।

ঢাকার বিভিন্ন রুটের ৫৯টি পরিবহন কোম্পানীর ৩ হাজার ৩০৭টি বাসে ই টিকিটিং চালু করা হয়। তাতে নির্ধারিত ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারায় যাত্রীরাও স্বস্তি জানান। কিন্তু এখন বেশিরভাগ বাসেই টিকিট দেয়া হয়না। ভাড়াও আগের মত বেশি নেয়ার অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

এক যাত্রি বলে তিনি নতুন বাজার থেকে উঠেছেন যাবেন মিরপুর এক নস্বর। ভাড়া নিলেও তাকে কোন টিকিট দেয়া হয়টি। এই বাসের আরেক যাত্রী জানান, ভাড়া দিয় কন্ডাক্টরের কাছে  টিকিট চাইলে বলা হয় নেই বা রিল শেষ হয়ে গেছে। কখনো কখনো বলা হয় মোবাইলে চার্জ নেই। আবার চাইলেও অনেক সময় দেয়া বলে অভিযোগ করেন অনেক যাত্রী।

চালু হওয়ার এক বছরের মধ্যেই ঢাকার বাসে ই-টিকিট ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে গেছে। এ যেন কাজীর গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই অবস্থা। পরিবহন মালিকদের হিসাবে রাজধানীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাসে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কোনো বাসে যাত্রীদের এই টিকিট দেয়া হয় না। ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে বাসের কন্ডাক্টররা। 

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর