অনলাইন ডেস্ক: বাবাকে স্মরণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তোয়াব খানের মেয়ে তানিয়া খান। তিনি বলেন, ‘এই দৈনিক বাংলায় আসার জন্য বাবার কী যে এক আকুতি ছিল। কবে কাজ শেষ হবে, কবে যাব।‘আজ যখন এখানে আনা হচ্ছিল তখন মনে হচ্ছিল এভাবে তোমাকে আনতে চাইনি। সেই তুমি দৈনিক বাংলায় আসলে; প্রাণহীন।’
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলা কার্যালয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অনুষ্ঠিত হয় তোয়াব খানের প্রথম নামাজে জানাজা।
এতে উপস্থিত ছিলেন নিউজবাংলার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, প্রকাশক শাহনুল হাসান খান, নির্বাহী সম্পাদক হাসান ইমাম রুবেল, দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টুসহ দুই প্রতিষ্ঠানের সংবাদকর্মীরা ও তোয়াব খানের স্বজনরাও অংশ নেন জানাজায়।
এরপর ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে মরদেহবাহী কফিন রওনা দেয় শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
এরপর বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মরদেহ নেয়া হবে জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে তাকে রাখা হবে বেলা ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত। ওই সময় তার দ্বিতীয় জানাজা হবে। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মরদেহ নেয়া হবে গুলশানে তার নিজ বাসভবনে।
বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই সাংবাদিককে দাফন করা হবে বনানী কবরস্থানে।
বার্ধক্যজনিত জটিলতায় অসুস্থতার পর তোয়াব খানকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শনিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
১৯৩৪ সালের ২৪শে এপ্রিল সাতক্ষীরার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তোয়াব খান। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন রয়েছে তার।